Advertisement

মন্ত্রিপদে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু, মমতাকে চিঠি কী লিখলেন? রইল সেই চিঠি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান। তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। 

শুভেন্দু অধিকারী
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 27 Nov 2020,
  • अपडेटेड 2:22 PM IST
  • মন্ত্রিপদে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
  • রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু
  • মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ইস্তফা দিলেন

অবশেষে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতেই দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ অর্থাত্‍ শুক্রবার মন্ত্রিপদে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু। তবে এখনই বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না বলেই খবর।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান। তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। 

মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, 'আমি মন্ত্রিপদে ইস্তফা দিতে চাইছি। এই ইস্তফাপত্র অবিলম্বে গ্রহণ করা হোক। আমি এই ই-মেল রাজ্যপালকেও পাঠিয়েছি। আমাকে মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।' বস্তুত, আজ সকালেই সরকারি জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানান শুভেন্দু।

রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সঙ্গী। বিশেষ করে মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবার মানেই, তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু ও তৃণমূলের নাম কার্যত একই সঙ্গে উচ্চারিত হয়। শুভেন্দু অধিকারীকে চর্চা নতুন নয়। পুজোর আগে থেকেই শুভেন্দু প্রকাশ্যে দলের তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন নানা ইস্যুতে। একের পর এক সভায় ব্যবহার করেননি দলের পতাকা। 'আমরা দাদার অনুগামী' ব্যানারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও থাকেনি। 

শুভেন্দুর মান ভাঙাতে তৃণমূলের তরফেও কম চেষ্টা করা হয়নি। সৌগত রায় একাধিক বার বৈঠক করেছেন অধিকারী পরিবারের এই দুঁদে রাজনীতিবিদের সঙ্গে। কিন্তু সমাধান হয়নি। 

শুভেন্দুর মন্ত্রিপদে ইস্তফা প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'শুভেন্দুবাবু পার্টি ছাড়তে পারেন। এটা টিএমসির শেষের শুরু। মুষলপর্ব চলছে। আমাদের লোকেরা যার যার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার রেখেছেন। শুভেন্দুবাবু আসতে চাইলে স্বাগত। আমার সঙ্গে কথা হয়নি। শুভেন্দুবাবু পার্টি ছাড়লে আরও অনেকে ছাড়বেন। টিএমসির সংগঠন বলে কিছু নেই। একটা মেলা। সার্কাস পার্টি। অনেকেই ওই পার্টিতে থাকতে পারছেন না। আমাদের দলে শুভেন্দুবাবু এলে, স্বাগত জানাবো। অনেকে এসেছেন।'

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement