একুশের নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র বীজপুর থেকে বিজেপি'র টিকিট পেয়েছিলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। কিন্তু, তৃণমূলের সুবোধ অধিকারীর কাছে হেরে যান তিনি। এরইমধ্যে গতকাল বাবার হাত ধরে 'ঘর ওয়াপসি' করেন শুভ্রাংশু করেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মুকুল যতটা না নিজেকে নিয়ে যতটা না চিন্তিত, তার থেকেও বেশি উদ্বিগ্ন ছেলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। সেকারণেই ছেলেকে সঙ্গে করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে ফিরে গেলেন।
সূত্রের খবর মুকুল রায়কে সাংগঠনিক কাজ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার অনেকে বলছেন, মুকুল রায়কে রাজ্যসভার সাংসদও করতে পারে ঘাসফুল শিবির। তবে শুভ্রাংশুকে কোন দায়িত্ব তৃণমূল দেবে। তা এখনও পরিষ্কার নয়। এমনকী গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি বলে আজতক বাংলাকে জানালেন শুভ্রাংশু।
আরও পড়ুন : 'ডাকাত-অশিক্ষিত-পাগল', মমতাকে আরও যা যা বলেছিলেন 'বিজেপির' মুকুল
শুভ্রাংশু বলেন, 'গতকাল আমরা পুরোনো দলে যোগ দিয়েছি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা হয়নি।'
কেন কথা হয়নি? এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'ধরুন দুর্গাপুজো চলছে। মানুষ আনন্দ করছে। আর আমার বাড়ির মা অসুস্থ। তাই আমি এখন রাজনীতি নিয়ে ভাবছি না। আমার এখন একমাত্র লক্ষ্য মা'কে সুস্থ করে তোলা।'
শুভ্রাংশু আরও বলেন, 'দল নিশ্চয় দায়িত্ব দেবে। দলের, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো কাজ করব। আমার মা সুস্থ হলেই আমি এসব বিষয়ে নজর দিতে পারব। আপাতত রাজনীতি নিয়ে কিছুই ভাবছি না।'
প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, একমো সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রায় পরিবারের। সেখানে তাঁর ফুসফুস প্রতিস্থাপন হতে পারে। তবে এখনই কৃষ্ণাদেবীকে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।