Bengal Universities' Interim VC Row: উপাচার্য নিয়োগ (Vice Chancellor Recruitment) ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতে এবার সুপ্রিম কোর্টে ‘নৈতিক জয়’ হল রাজ্য সরকারের। অন্তবর্তি উপাচার্য নিয়োগে স্থগিতাদেশের পাশাপাশি এই সমস্যার সমাধানে পরামর্শও দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলায় কেন ১২ জনকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হয়েছে, তা নিয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের কাছে জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাংলার রাজ্যপালকে এই জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জট কাটাতে এবার রাজ্যপাল আর মুখ্যমন্ত্রীকে বৈঠকে বসারও পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালত আজ স্পষ্ট করে দেয় যে, এই মামলার পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আর কোনও নিয়োগ করতে পারবেন না বাংলার রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। আগামী ৩১ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি রাখতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য। ওই মামলায় এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি হিসেবে কারা থাকবেন, ওই তালিকা রাজ্যকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'আমরা যে সুবিচার চেয়েছিলাম, সুপ্রিম কোর্ট তাতে সিলমোহর দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা না শোনার জন্য তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশ করা উচিত রাজ্যপালের। এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এই বাড়ির অস্থায়ী বাসিন্দার জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে। আচার্যের পরাজয় হলে আমাদের তো খারাপ লাগারই কথা। আমরা চাইব, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকে বসুন। বাইরের কারও হস্তক্ষেপের দরকার পড়বে না।'