Advertisement

Suvendu Adhikari: 'খুনিদের সঙ্গে মিটিং করেছেন আইসি', নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে তুলকালাম শুভেন্দুর

বুধবার নন্দীগ্রাম থানায় পৌঁছতেই রণংদেহি মেজাজ ধরেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন,নন্দীগ্রাম থানার আইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে শামসুলরা, এরাই বিজেপি কর্মীর মায়ের খুনে অভিযুক্ত।

নন্দীগ্রাম থানায় শুভেন্দু অধিকারী
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 23 May 2024,
  • अपडेटेड 4:48 PM IST
  • নন্দীগ্রাম থানায় পৌঁছেই রণংদেহি মেজাজ ধরেন শুভেন্দু অধিকারী।
  • নন্দীগ্রাম থানার আইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে শামসুলরা, এরাই বিজেপি কর্মীর মায়ের খুনে অভিযুক্ত।
  • অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিজেপি কর্মীর মা রথীবালা আড়ির মৃত্যুর ঘটনায় রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রাম থানায় পৌঁছেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করলেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে থানার মধ্যেই বৈঠক করেছেন আইসি। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়,'কেন হিংসা উপদ্রুত অঞ্চলে জওয়ানদের পাঠানো হল না? আপনারা কাশ্মীরকে শান্ত করে দিয়েছেন'। 

বুধবার নন্দীগ্রাম থানায় পৌঁছেই রণংদেহি মেজাজ ধরেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন,নন্দীগ্রাম থানার আইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে শামসুলরা, এরাই বিজেপি কর্মীর মায়ের খুনে অভিযুক্ত। শুভেন্দু বলেন,'খুনিরা থানায় এসেছিল কেন? আমার কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। আল গাজির নেতৃত্বে খুনিরা থানায় এসেছিল। রথীবালা আড়ি আমার মা। আমার মাকে খুন করেছে। আপনারা খুনিদের সঙ্গে এক্ষুণি মিটিং করেছেন। এসসি-দের খুন করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। আর আল গাজি, শামসুলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আপনার আইসি। আপনি এফআইআর নম্বর দেন?' থানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তাঁকে নম্বর দেন। 

এরপর শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'আপনারা (পুলিশ) কোনও ব্যবস্থা নেবেন না, সেটা জানি। আমি নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকের কাছে যাব, যাতে আইসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমি সিবিআই তদন্ত চাইব। ৫৬ বছরের মহিলাকে খুন করেছে। বাংলায় মেয়েদের কোনও সম্মান নেই!'।       

এদিকে, রথীবালা আড়িকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখেছে বিজেপি। তারা দাবি করেছে, অবিলম্বে পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি-কে সরাতে হবে।  

পঞ্চম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। বুধবার রাতে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী সঞ্জয় আড়ির মা রথীবালার। সকালে মনসা বাজার এলাকায় রাস্তার উপর গাছ ফেলে, আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। একের পর এক দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই ঘটনায় তাদের যোগ নেই। এটা আদি ও নব্য বিজেপির লড়াই। তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান সংবাদ মাধ্যমে জানান, বিজেপিতে নব্য এবং আদির মধ্যে লড়াই চলছে। সেই লড়াইয়ের বলি হয়েছেন রথীবালা। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement