খেজুরির সভায় নন্দীগ্রামে পায়ে আঘাতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়লেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, "যাঁরা মারধরের হুমকি দিচ্ছে, মানুষ তাঁদের জবাব দেবেন। নন্দীগ্রাম নির্বাচন করতে এসে আমরা পা ভেঙে-মুচড়ে দিয়েছিল। আমার পায়ে দাগ এখনও রয়েছে। এখনও পা ফুলে রয়েছে, সম্পূর্ণ সেরে ওঠেনি। তখন সেই পা নিয়েই হুইল চেয়ারে করে আমি নির্বাচনে প্রচার করেছিলাম। আমি ছেড়ে যাওয়ার লোক নই, ছেড়ে যাবও না"।
এর প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "ভোট আসলেই পা ফোলে৷ ভাঙা পায়ের কথা বলে৷ খেজুরির সভার পাল্টা আজ আমি বলব না। আমি আগামী সোমবার ওই মাঠেই জবাব দেব৷ আর দিঘার উত্তর আগামী পরশু নদিয়ার হাঁসখালিতে দেব"। প্রসঙ্গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনই নন্দীগ্রামে (Nandigram) পায়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর গোটা ভোটের লড়াইটাই লড়েন পায়ে প্লাস্টার নিয়ে ও হুইলচেয়ারে চেপে।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, "তৃণমূলকে (TMC) একদম তুলে ফেলতে হবে, একদম ভয় পাবেন না। উত্তর প্রদেশ, গুজরাটে রামনবমীর এত মিছিল হয়েছে, একটাও কোনও ঘটেনি। তৃণমূলের পাশ থেকে সংখ্যালঘুরা সরে যাচ্ছেন। বগটুই, আনিস খান ও সাগরদিঘির উপনির্বাচনের পর সংখ্যালঘুরা ভুল বুঝতে পেরেছেন। এনআরসির নামে তাঁদের ব্যবহার করেছে এটা সংখ্যালঘুরা বুঝতে পেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন। হাওড়া ও রিষড়ার হিংসার ঘটনায় তৃণমূলের গুন্ডারা যুক্ত। হাত থেকে ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে তাই এই কাজ করানো হচ্ছে"।
পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর করার ডাকও দিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, "বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মোদীজি (Narendra Modi), অমিত শাহ ও নাড্ডাজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর দায়িত্ব আমাকে দিয়েছিলেন। সেই কাজ করেছি। মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার কাজ এখনও বাকি। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে সেই কাজও করব"।
আরও পড়ুন - দেশে ফের বাড়ছে করোনা? আক্রান্ত ছাড়াল সাড়ে ৩ হাজার, মৃত ১১