Suvendu Adhikari on Deucha Pachami Coal Block: দেউচা-পাঁচামি কয়লা প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের ওপর পাল্টা চাপ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বুধবার তিনি বীরভূমের দেউচা-পাঁচামিতে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা থেকে দেউচা ঝেড়ে ফেলে দিক। হবে না, হবে না। ক্লোজড চ্য়াপ্টার।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নষ্ট করার জন্য এটা পুলিশ এবং তৃণমূলের চাল। কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদীর শক্তি নেই। স্থানীয় লোকেরা করছেন। তাঁরা কোথাও মঞ্চ বেঁধে করছে, অরাজনৈতিক। আবার কোথাও আমরা বিজেপি, আমাদের ব্যানারে করছি। অন্য দলও করছে।"
তিনি আরও বলেন, "ইস্যু এক। কোনও উচ্ছেদ করা চলবে না। ক্লোজড চ্য়াপ্টার, ক্লোজড চ্য়াপ্টার, ক্লোজড চ্য়াপ্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা থেকে দেউচা ঝেড়ে ফেলে দিক। হবে না, হবে না।"
প্রতিবাদে আদিবাসীরা
এদিকে, ইতিমধ্য়ে প্রতিবাদে নেমেছেন সেখানকার আদিবাসীরা। "খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্প চাই না।" হাতে তীর-ধনুক নিয়ে জেলা শাসককে এলাকায় ঢুকতে বাঁধা আদিবাসীদের। সোমবার এমনই ছবি দেখা গিয়েছিল।
বিক্ষোভ
সরকারি পাট্টা ও চেক বিতরণ করে জমি অধিগ্রহণের জন্য এদিন গিয়েছেল বীরভূম জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তবে সে কাজ সারা যায়নি। কারণ তাঁরা আদিবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ফলে ফিরে আসতে হয় তাঁদের।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খোলামুখ কয়লা খনি হতে চলেছে বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি। কিন্তু এখানে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখানে খনি প্রকল্প করতে গেলে উচ্ছেদ করতে হবে বহু গ্রাম।
আরও পড়ুন: পড়ুয়া সাজিয়ে সবুজ সাথীর সাইকেল বিক্রির অভিযোগ, গ্রেফতার প্রধান শিক্ষিকা
পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই এলাকায় কমপক্ষে ২০টি গ্রামে ৪৩১৪টি বাড়িতে ২১ হাজারেরও বেশি মানুষের বাস। এই অঞ্চলে অধিকাংশ গ্রাম আদিবাসী প্রভাবিত। তাই জমি অধিগ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও আদিবাসীদের একটা বড় অংশ জমি দিতে নারাজ।
অনিচ্ছুক জমিদাতারা প্রথম থেকেই 'বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা' মঞ্চ বানিয়ে আন্দোলন করে আসছে।
কাটেনি জট
এই জট কাটাতে সদ্য আদিবাসী নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে পরেও বরফ যে গলল না তা এদিন স্পষ্ট। আদিবাসীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি।