দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আহত বহু। আর সেই প্রসঙ্গেই প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দত্তপুকুরের ঘটনার জন্য প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করেন। তিনি দাবি করেন, সরকারের গাফিলতির কারণেই এমনটা ঘটেছে। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের চোরদের বাঁচাতে ব্যস্ত। তাঁর পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বাঁচাতে ব্যস্ত। এই দিকে তাঁর নজর নেই। এই ধরণের অশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে রাজ্য চললে যা হওয়ার তাই হয়েছে।'
যে দোতলা বাড়িতে বাজি তৈরি চলত, তা এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর। প্রশাসনের মদতেই বাজি তৈরি চলত বলে দাবি স্থানীদের। তাঁর বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চালাচ্ছেন এলাকাবাসী। এখনও বাড়ির সামনেই বস্তাভর্তি বাজি তৈরির কাঁচামাল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বোমা তৈরি হচ্ছিল এই কারখানায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় এলাকায় পুরো ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। আশপাশের মোট ৩টি পাকা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকদের ধারণা, ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ আটকে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
চলতি বছর ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় বাজি কারখানার ১২ জন কর্মীদের। ঘটনার পর রাজ্যের সকল বাজি তৈরির কারখানায় তল্লাশি চালানো হবে বলে জানিয়েছিল প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে তা হয়েছিলও। কিন্তু বাস্তবে তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি বলেই দাবি সমালোচকদের। আর সেই কারণেই, এগরার ঘটনার সাড়ে ৩ মাস পরে ফের এহেন ঘটনা। জনবহুল লোকালয়ের মাঝেই জোরকদমে চলছিল বাজি তৈরির কাজ।
এগরার ঘটনার পর ক্ষমা চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার ১১দিন পর সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় চোখ খুলে গিয়েছে প্রশাসনের। এরপর এই ধরণের বেআইনি বাজি কারখানাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।