রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার (Bankura) মেজিয়া। ঘটনায় উঠে আসছে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষের তত্ত্ব। সোমবার রাত্রি ৯টা নাগাদ মেজিয়ার বাগানগোড়ায় ঘটে ঘটনাটি। জানা গিয়েছে, শংকর শর্মা নামে এক রেশন ডিলারের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। রবিলোচন গোপ ও তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ গোপ নিজেদের অনুগামীদের নিয়ে ওই রেশন ডিলারের বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। মারধরে বিশাল শর্মা ও অভিষেক শর্মা নামে রেশন ডিলারের বাড়ির দুই সদস্যের মাথায় চোট লাগে বলে। সেই হামলার বিরুদ্ধে স্থানীয় বাউরি পাড়ার বেশকিছু তৃণমূল যুব কংগ্রেস সদস্য প্রতিবাদ জানায়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
এরপর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিশ্বজিৎ গোপ, রবিলোচন গোপ ও তাঁদের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে পালটা বাঁকুড়া রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে যুব তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রবিলোচন গোপ ও বিশ্বজিৎ গোপের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এই অবরোধ। অবশেষে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
ঘটনায় দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা কার্যত খোলাখুলিই স্বীকার করে নিয়েছেন মেজিয়া ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহসভাপতি বিপ্লব দুবে। তিনি বলেন, "বর্তমানে মেজিয়ার বুকে তৃণমূলের যুব সংগঠন দিনদিন চাঙ্গা হচ্ছে। আর সেটাই সহ্য করে উঠতে পারছে না তৃণমূলের অপর একশ্রেণী। তারা ভাবছে যুব সংগঠন আগামিদিনে হয়তো সিন্ডিকেটরাজ ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুব সংগঠনকে শেষ করার।" যদিও গোটা ঘটনা যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, মেজিয়ায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশকয়েকবারই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে মেজিয়া রাজনৈতিক হিংসা। এখন দেখার দলের গোষ্ঠী কোন্দর ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব।