Abhishek Banerjee: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাজভবনের সামনে দ্বিতীয় দিন অব্যাহত তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি। একশো দিন-আবাস যোজনার টাকা বঞ্চনার প্রতিবাদে চলছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ থেকে না ফেরা পর্যন্ত তা চলবে ঘোষণা অভিষেকের। সেই সঙ্গে রাজ্যপালকে এও হুঁশিয়ারি দেন, কলকাতায় রাজভবনে এসে কথা বলতে হবে। ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে রাজভবনে যাব। এই চিঠি পড়াব। আমায় সময় দিতে হবে। আমি ততক্ষণ উঠব না, যতক্ষণ না আমার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলবেন। নাহলে এই ধর্না চলবে।
তবে সৌজন্যতার খাতিরে আগামিকালই দার্জিলিং যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র ও মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার যেতে পারেন দার্জিলিং। তাঁকে চিঠি দিতে যাবেন তাঁরা। ১০ ভুক্তভোগী পরিবার দেখা করতে চান রাজ্যপালের সঙ্গে।
অভিষেকের এও দাবি, শিলিগুড়িতে কিছুক্ষণ থেকে দিল্লি পালিয়ে যান রাজ্যপাল। প্রশ্ন তোলেন, শিলিগুড়ি থেকে বাংলায় না এসে কেন দিল্লি উড়ে গেলেন তিনি?
শুক্রবার ধর্নার দ্বিতীয় দিনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দের উদ্দেশ্যে তিনি এ-ও বলেন, "আপনি দেখা না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কাল আমাদের তিনজনের প্রতিনিধি দল দার্জিলিং যাবেন আপনার সঙ্গে দেখা করতে। কাল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সময় দিয়েছেন তিনি।"
যদিও, রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের কলকাতায় ফেরার তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি দিল্লিতে তাঁর পূর্বের সময়সূচী নিয়ে ব্যস্ত। আগামিকালই দার্জিলিং যাচ্ছেন রাজ্যপাল।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "মন্ত্রীরা ঠিক আসবেন একটা সাংবাদিক বৈঠক করার জন্য। দু'দিন আগে তিনি দেখা করছিলেন না। আজ ফ্লাইট নিয়ে বাংলায় আসতে হচ্ছে। বাংলার মানুষের টাকা আটকে শেষ করে দেবেন তা ভেবেছিলেন? তুমি যেখানে শেষ করবে, আমি সেখানে শুরু করব।" এ-ও বলেন, "আমাদের কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক নেতারা।"
২০ লক্ষ মানুষের টাকা আটকে রাখআর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমার দুটো ছোট দাবি। ২০ লক্ষ লোক মনরেগায় কাজ করেছে। বরং বলে দিন, কাজ করাননি, কাজ করে থাকলে কোন যুক্তিতে টাকা আটকে রেখেছেন?... আমাদের ওপর আঁচড়-আঘাত এসেছে। এই চিঠি নিয়ে আমরা রাজ্যপালকে পড়াতে চাই। এই চিঠিগুলি কি মিথ্যে? ভুক্তভোগীদের চিঠি রাজ্যপালকে পড়িয়েই ছাড়ব। দুর্নীতি হলে তদন্ত করুন।"