বিজেপি কথা রাখেনি, তাই গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন দেন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। তবে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে তিনি যে সরছেন না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বিমল। আর হলও তাই। এবার সেই বিমল ঘনিষ্ঠ রোশন গিরিই তুললেন পৃথক রাজ্যের দাবি। আর যদি পৃথক রাজ্য নাও হয়, তবে অন্তত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন রোশন গিরি?
বিমল গুরুং ঘনিষ্ঠ রোশন গিরি (Roshan Riri) বলেন, "কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের পৃথক গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনা শুরু করা উচিত। পশ্চিমবঙ্গে থেকে বেড়িয়ে পাহাড়-তরাই-ডুয়ার্সের জন্য পৃথক ব্যবস্থার প্রয়োজন।" আর যদি তা নাও হয়, তাহলে অন্তত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার সপক্ষে দাবি তুলেছেন রোশন।
এদিকে রোশনের এই দাবির পরেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাহাড়ের রাজনীতিতে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই পরিস্থিতিতে কী অবস্থান নিচ্ছে তৃণমূল? এই প্রসঙ্গে পাহাড়ের তৃণমূল নেতা বিন্নি শর্মা (Binny Sharma) জানান, "আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গেরই অংশ। দার্জিলিং-এর উন্নয়ন, শান্তি ও গণতন্ত্রই প্রধান বিষয়। আমরা কোনওভাবেই সমর্থন দিচ্ছি না। ভোটে বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা হেরেছেন। মানুষের কাছে যাওয়ার মতো তাঁদের কাছে আর কোনও বিষয় নেই। তাই মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য ঘুরেফিরে একই কথা বলছেন।"
প্রসঙ্গত দার্জিলিং তথা গোটা উত্তররবঙ্গে বিভিন্ন সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এই ধরনের দাবি। সাম্প্রতিককালে বিজেপি সাংসদ জন বার্লার (John Barla) মন্তব্যকে ঘিরেও উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানান জন বার্লা। আর জন এই দাবি তোলার পরেই সরাসরি তাঁর বিরোধিতায় নামে তৃণমূল। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। আর সেই বিতর্কের মাঝেই এবার আসরে রোশন। যদিও বিন্নি শর্মা অবশ্য শুরুতেই রোশনের বিরোধিতা করেছেন। এখন দেখার রোশনের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন কোন মোড় নেয় পাহাড়ের রাজনীতি।