লোকসভা নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হবেন কি না সেই নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। তার মধ্যেই সংসদে বাংলায় ভাষণ দিলেন ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দেব। লোকসভা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার ছিল সংসদের শেষ অধিবেশন। শেষদিনে বক্তব্য রাখতে বেশ আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন দেব। এই লোকসভা অধিবেশনের শেষ ভাষণে তিনি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন যাতে হয়, তারও দাবি জানান।
দেব তিনি, 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রথমবার সংসদে কথা বলেছিলাম। আজ আমার শেষদিন পার্লামেন্টে। ১৯৫০ সাল থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। ঘাটালের মানুষের অনেক দিনের কষ্ট। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, এটা তৃণমূল বা বিজেপির সমস্যা নয়। এটা এলাকার সাধারণ মানুষের সমস্যা। দল ও মতকে সরিয়ে রেখে পরবর্তী সরকার যেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করে। প্রতি বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ মানুষ। ঘাটার মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মানুষ যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা যেন সত্যি হয়। আমি সাংসদ থাকি বা না থাকি, ঘাটালের মানুষের কষ্ট দূর হয় যেন।' বক্তব্য রাখতে উঠে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেব। তিনি বলেন, 'আমাকে ১০ বছর কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি ঘাটালের মানুষকে।'
সম্প্রতি ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন দেব। তার পরেই দেবের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। গতকাল জল্পনা আরও বাড়ে। বুধবার বিকেলে ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে নতুন করে জল্পনা তৈরি করন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ। স্টোরিতে লোকসভায় দেবের আসনের ছবি রয়েছে। ছবির উপরে ইংরেজিতে দেব লেখেন, 'ফিউ মোর আওয়ার্স'। বাংলায় যার অর্থ হল, আর কয়েক ঘণ্টা। কয়েক ঘণ্টা পর কী করতে চলেছেন দেব? এই নিয়ে জোর জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে।
২০১৪ সালে প্রথম বার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থেকে তৃণমূল প্রতীকে লড়ে সাংসদ হয়েছিলেন দেব। তার পরে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ঘাটল থেকে জয়ী হন তারকা সাংসদ। তবে রাজনীতিতে দেবের আসার সময় থেকেই চর্চা চলেছিল। রাজনীতিতে আসা নিয়ে সেই সময় দেবের অনিচ্ছার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় দেব ভোটে লড়তে চান না বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এ বারও সেই জল্পনা দানা বেঁধেছে বঙ্গ রাজনীতিতে।