ভারত-বাংলাদেশ উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে ১২ জন মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিল ডায়মন্ড হারবার জেল। মাছ ধরতে এসে ভারতের সীমানায় ঢুকে পড়েন বাংলাদেশের এই মৎস্যজীবীরা। মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার জেল থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কাকদ্বীপের বিডিও এবং কাকদ্বীপ থানার আইসির উপস্থিতিতে ডায়মন্ড হারবার সাব-সংশোধনাগার থেকে ১২ জন মৎস্যজীবীকে হস্তান্তর করা হয়।
প্রায় তিন মাস আগে এই ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করেন। এরপর তারা জেল বন্দি ছিলেন। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের জেলে বন্দি ভারতের ৯৫ জন মৎস্যজীবী। প্রায় দু'মাস আগে কাকদ্বীপের ছয়টি ট্রলারকে আটক করেছিল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের জল সীমান্তে ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁদের ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে সরকার।
দিন কয়েক আগে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের যে মৎস্যজীবীরা আটকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক, আর বাংলাদেশেও যে ভারতীয় মৎস্যজীবীরা আটকে তাদের ছেড়ে দিক।
ভারতের মৎস্যজীবীদের যাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় সেই ব্য়াপারে উদ্যোগী পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁদের দেশে ফেরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন। ভারতের ৯৫ জনকে ফেরাতে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে আশাবাদী পরিবারগুলি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর দিন সাতেক কেটে গেলেও এখনও ৯৫ জন মৎস্যজীবী মুক্তি পাননি।