শো-কজ থেকে জেলা মুখপাত্রের পদে ইস্তফা। নির্বাচনের আগে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের দলবদলের ইঙ্গিত ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল। এই সবের মধ্যেই 'দাদার অনুগামী' লেখা পোস্টার পড়ল কোন্নগরের বিভিন্ন জায়গায়। উত্তরপাড়ার বিধায়ক এই ব্যানার ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তবে কি পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন নেতা? জল্পনা বেড়েছে পোস্টারের গেরুয়া রং দেখে।
যদিও প্রবীর ঘোষাল জানান, "আমি যদি ভোটে লড়তে যাই তবে তা জানিয়েই যাব। প্রতীক কী হবে তা আমি জানি না। মানুষ চাইছে ভোটে লড়াই করেই এ সবে জবাব দিতে।" তবে বিজেপির তরফে কেউ যোগাযপগ করেনি এখনও সে কথা জানান বিধায়ক। এমনকী শো-কজ নোটিসও কিছু পাননি এমনটাও জানিয়ে দেন। প্রবীর ঘোষাল বলেন, "আমি সংবাদমাধ্যমেই দেখছি এই শো কজের কথা।আমি কিছু জানি না। হয়তো শো কজ করলে কড়া জবাব যাবে সেই ভেবেই পাঠানো হয়নি। আমি অপেক্ষা করছি।"
অনেকেই প্রশ্ন তুলছে তাহলে কি তিনি দল বদলাচ্ছেন যদিও উত্তরপাড়ার বিধায়কের বক্তব্য, "এখনও কিছু সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিজেপি যদিও জানাচ্ছে যে আমার ভাল ভাবমূর্তি রয়েছে। মানুষের পাশে থাকি। দল চায় না ভাল লোকেরা কাজ করুক। যত তাড়াতাড়ি দল থেকে চলে যাই সেটাই চায়।"
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারির পদ্ম যোগের আগে 'দাদার অনুগামী' পোস্টার প্রথম দেখে বঙ্গ রাজনীতি। এরপর তৃণমূলে 'বেসুরো' হওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও একই পোস্টার পড়েছিল। এরপর বেশ কিছু দিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো উত্তরপাড়ার বিধায়কের নামে এহেন অনুগামী পোস্টারই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিন বিধানসভাতেও অনুপস্থিত ছিলেন প্রবীর ঘোষাল। শুক্রবার তৃণমূলনেত্রীর বাসভবনের বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকেন কি না, সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে রাজনীতিকদের একাংশ।