Advertisement

শিক্ষকের উদ্যোগ, জামুড়িয়ায় আদিবাসীদের জন্য 'ভ্যাকসিন রথ'

জামুড়িয়ার তিলকা মাঝি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপনারায়ণ নায়েক। লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় গত দেড় বছর ধরে আদিবাসী পড়ুয়াদের নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় স্কুল চালাচ্ছেন। নিজের উদ্যোগে এই পঠনপাঠন করানোর জন্য, ইতিমধ্যেই তিনি 'রাস্তার মাস্টার' নামে খ্যাতি পেয়েছেন। শুধু আদিবাসী পড়ুয়াদের পাশে থাকাই নয়, দিনমজুর অভিভাবকদেরও পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

আদিবাসী মহিলাদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা
অনিল গিরি
  • জামুড়িয়া,
  • 20 Jul 2021,
  • अपडेटेड 6:55 PM IST
  • আদিবাসী মহিলাদের টিকাকরণের উদ্যোগ
  • বাসে করে নিয়ে যাওয়া হল ভ্যাকসিন দিতে
  • টিকাকরণের পর দেওয়া হল গিফট কুপন

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কেশকিছুটা নিয়ন্ত্রিত। তবে আশঙ্কা রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তৃতীয় ঢেউতে আক্রান্ত হতে পারেন শিশু ও প্রসূতি মহিলারা। এদিকে তৃতীয় ঢেউতে মৃত্যু মিছিল আটকাতে ইতিমধ্যেই টিকাকরণে আরও বেশি করে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। চলছে লাগাতার প্রচার। কিন্তু তারপরেও কিছু মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রতি অনীহা দেখা দিয়েছে। ঠিক যেমন জামুড়িয়ার আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের মহিলারা। পেশায় দিনমজুর ওই আদিবাসী মহিলাদের মনে ভ্যাকসিন নিয়ে বিবিধ ভয় ও আশঙ্কা ছিল। এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত মহিলাদের সচেতন করতে উদ্যোগ নিলেন  স্থানীয় স্কুল শিক্ষক দীপনারায়ণ নায়েক। ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগের সাহায্যে অনলাইনে বুক করলেন ভ্যাকসিনের শ্লট। তারপর 'ভ্যাকসিন রথে' চাপিয়ে ১০০ জন গ্রামবাসীকে নিয়ে গেলেন জামুড়িয়া আখলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল গিফট কুপনও। 

আদিবাসী মহিলাদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা

জামুড়িয়ার তিলকা মাঝি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপনারায়ণ নায়েক। লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় গত দেড় বছর ধরে আদিবাসী পড়ুয়াদের নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় স্কুল চালাচ্ছেন। নিজের উদ্যোগে এই পঠনপাঠন করানোর জন্য, ইতিমধ্যেই তিনি 'রাস্তার মাস্টার' নামে খ্যাতি পেয়েছেন। শুধু আদিবাসী পড়ুয়াদের পাশে থাকাই নয়, দিনমজুর অভিভাবকদেরও পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। পাশপাশি বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারও করে চলেছেন। কিন্তু সম্প্রতি কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে দেখা দেয় সমস্যা। ভ্যাকসিন নিতে অনীহা দেখা যায় জামুড়িয়ার আদিবাসী গ্রামের মহিলাদের মধ্যে। ভ্যাকসিন নিলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে এমন ধারনাও কারও কারও মনে দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত নিজের ভ্যাকসিন শার্টিফিকেট দেখিয়ে তাঁদের সচেতন করেন দ্বীরনারায়ণবাবু।

আদিবাসী মহিলাদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা

এদিকে গ্রামের মহিলারা শেষ পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিতে রাজি হলেও দেখা দেয় টিকার অপ্রতুলতা। সেই সমস্যা সমাধানে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় অনলাইনে ভ্যাকসিনের শ্লট বুক করেন তিনি। নিখরচায় গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসের ব্যবস্থাও করেন। সেই বাসেরই নাম দেওয়া হয় ভ্যাকসিন রথ। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় টোকেন উপহার। 'রাস্তার মাস্টারের' এই উদ্যোগে খুশি জামুড়িয়ার আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা। আগামিদিনেও আর্থিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া গ্রামবাসীদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন শিক্ষক দীপনারায়ণ নায়েক।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement