দেশজুড়ে টিকার সংকট তৈরি হয়েছে। কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ পাওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না অনেকেই। সেই সমস্যা মোকালিবায় সরকার একটি প্যানেল গড়েছিল। সেই প্যানেল পরামর্শ দিল, কোভিশিল্ডেড দুটি ডোজ নেওয়ার মধ্যে ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ করা হোক। আর যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের ৬ মাস টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এতদিন পর্যন্ত এই ব্যবধান ছিল ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের।
NTAGI নামে ওই প্যানেলের আরও প্রস্তাব, যে মায়েরে স্তন্যপান করান তাঁদের যে কোনও দিন ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে। আর যাঁরা করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁদের আগামী ৬ মাসের মধ্যে টিকা দেওয়া যেতে পারে।
চিকিৎসকরা এর আগে ৩ মাসের মধ্যে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন
NTAGI-এর এই সুপারিশের আগে চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল, যদি কারও করোনা হয়ে থাকে, তবে তিনি রোগমুক্ত হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে টিকা নিতে পারেন। CDCUS-এর গাইডলাইনেও ৩ মাসের ব্যবধানের কথা বলা হয়েছে। তারা এই নির্দশিকায় এখনও কোনও পরিবর্তন আনেননি।
আরও পড়ুন : কোভিড আক্রান্তের সঙ্গে থেকেও নিজেকে কীভাবে করোনামুক্ত রাখবেন?
দ্বিতীয় ডোজ দেরিতে দিলে কমতে পারে মৃত্যু
সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ দেরিতে দিলে করোনায় আক্রান্তদের মৃতের হার কমবে। যদিও ৬৫ বছরের কম লোকেদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য। সেখানে এও জানানো হয়েছে, পরিস্থির উপর নির্ভর করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।