'এ ধরনের 'গুন্ডামি' চলতে দেওয়া উচিত নয়...বিষয়টিকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে,' বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার ভোরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে আক্রান্ত হয় NIA। ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই তৃণমূল নেতাকে আটক করতে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সময়েই গ্রামবাসীদের একাংশ NIA আধিকারিকদের উপর ইটবৃষ্টি শুরু করে বলে অভিযোগ। গাড়ি ঘিরে ধরে ভাঙচুরও করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, 'এনআইএ অফিসারদের উপর আক্রমণ একটি খুবই গুরুতর বিষয়। তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা মোটেও কোনও কৃতিত্বের বিষয় নয়।' এরপরেই এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপের দাবি করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, 'বিষয়টিকে লোহার মতো শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি। সম্পূর্ণ গুরুত্ব সহকারে এর মোকাবিলা করতে হবে।' তিনি সাফ জানিয়ে দেন, 'এ ধরনের গুন্ডামি চলতে দেওয়া উচিত নয়। পেশি শক্তির আইনি ক্ষমতা প্রতিস্থাপন করা উচিত নয়।'
গত ২ ডিসেম্বর ২০২২-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ভূপতিনগর। তারই তদন্তে শনিবার ভূপতিনগর পৌঁছান NIA-এর আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, NIA টিম সকাল সাড়ে ৫টায় ফোর্স রিকুইজিশন করেছিল। কিন্তু তার আগেই তাঁরা গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিল। ৩-৪ জন অফিসারের সঙ্গে ঘটনার সময়ে প্রায় ২০-২৫ জনের কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল বলে জানা গিয়েছে।
অভিযুক্ত বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দু'জনকে আটক করেছিল এনআইএ। এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। NIA-এর গাড়ি ঘিরে ফেলেন তাঁরা। এরপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। শুরু হয়ে যায় ইটবৃষ্টি।
পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি সৌম্যদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, NIA-এর অভিযোগের ভিত্তিতে FIR রেজিস্টার করা হয়েছে। যেই সময়ে আমাদের বাহিনী চাওয়া হয়েছিল, তার আগেই NIA টিমগুলি বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল। আমরা তাঁদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করেছিলাম। আমরা আহত টিমকে ভূপতিনগর থেকে বের করে এনেছিলাম।