সন্দেশখালি পরিস্থিতি নিয়ে উত্তপ্ত বাংলা। এই আবহে শুক্রবার বঙ্গ বিজেপি নেতা সব্যসাচী ঘোষকে যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। হাওড়ায় যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে দিন কয়েক আগে সন্দেশখালির মহিলারা শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন।
বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ হাওড়ায় বিজেপি নেতা সব্যসাচী ঘোষের হোটেলে যৌন ব্যবসার র্যাকেট ফাঁস করেছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি মহিলাদের রক্ষা করে না বরং ব্যভিচারীদের রক্ষা করছে।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির একাধিক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং জমি দখলের অভিযোগ তুলেছিলেন। স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শাহজাহান প্রধান অভিযুক্ত বলে অভিযোগ করেন মহিলারা।
শেখ শাহজাহান আত্মগোপনে যাওয়ার পর মহিলারা শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ এলাকার মহিলাদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করার পরে তাদের গ্রেফতার করে। অভিযোগের তালিকায় বাদ নেই শাহজাহানের ভাই সিরাজও। ৫০ দিন হয়ে গেল অধরা শাহজাহান। গত ৫ জানুয়ারিতে শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে এসে হামলার শিকার হয়েছিল ইডি। তারপর থেকে পলাতক সে।
এদিনও সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকায়। লাঠি,ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন মহিলারা। ক্ষোভ সামলাতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। বেড়মজুরে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়দের একাংশ। অজিতের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ। অজিতের বাড়িতে ভাঙচুরে অভিযুক্তদের নাম নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।