আন্দাজ আগে থেকেই করা হচ্ছিল। উপ নির্বাচনে বিরাট বড় ধাক্কা খেলো গেরুয়া শিবির। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জেতা আসন শান্তিপুর ও দিনহাটা ধরে রাখতে পারল না বিজেপি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিরাট ভোটের ব্যবধানে শান্তিপুরে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনেও প্রায় ১৫ হাজার মার্জিনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। কিন্তু তিনি সাংসদ পদই বহাল রাখেন। বিধায়ক পদে পদত্যাগ করেন। ফলে এই আসনে উপ নির্বাচনে দেখা যায় এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের ব্রজকিশোর গোস্বামী এগিয়ে ২৮,৬০৬ ভোটে। তৃণমূল এখনও পর্যন্ত ভোট পেয়েছে ৫৮,১২৭টি। বিজেপি পেয়েছে ২৯,৫২১টি ভোট। ফলে জয়ের পাল্লা যে ভারী তৃণমূলের দিকে তা বলাই বাহুল্য।
বিজেপি সবথেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে দিনহাটায়। প্রায় দেড় লাখের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এখনও পর্যন্ত ১৮ রাউন্ড গণনার শেষে তৃণমূলের উদয়ন গুহ পেয়েছেন ১,৭৯,৯১০টি ভোট। বিজেপি পেয়েছে ২৪,০৭৩টি ভোট। প্রায় ১,৫৫,৮৩৭ ভোটে এগিয়ে রয়েছে জোড়াফুল শিবির। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে মাত্র ৫৯ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু পরে তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ পদ বহাল রাখেন। কিন্তু উপ নির্বাচনে এই আসনেই মুখ থুবড়ে পড়ে গেরুয়া শিবির। দেশে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কেন্দ্রে দেড় লাখ মার্জিনে হার স্বাভাবিক ভাবে পদ্ম শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা। শুধু শান্তিপুর কিংবা দিনহাটা নয়, বাকি দুই আসন গোসাবা ও খড়দাতেও বিরাট ভোটের ব্যবধানে জিততে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ইতিমধ্যে ৫ জন বিধায়ক দলত্যাগ করে ঘাসফুলে। আর বাকি দুটি আসনে উপ নির্বাচনে হারতে চলেছে পদ্ম শিবির। ফলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে হয়েছে ৭০। অপরদিকে ২১৩টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল। সেই সংখ্যা এবার আরও বাড়তে চলেছে। ফলে বিষয়টি ঘিরে যে ক্রমশ চাপ বাড়বে পদ্ম শিবিরের উপর, তা বলাই বাহুল্য।