রাজ্যে (West Bengal) ফের দৈনিক করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের পেরিয়ে গেল। তবে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্য়া তার থেকে বেশি। সেইসঙ্গে সুস্থতার হার পৌঁছেছে রেকর্ড জায়গায়। পরীক্ষার সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন থেকে এমনই তথ্য জানা গিয়েছে। ওই বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৯৩ জন মানুষ। আর ওই রোগ থেকে সেরে উঠেছেন ২ হাজার ৭৬৭ জন। এখন রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৪.৪৫ শতাংশ।
গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যা কিছুটা চিন্তা বাড়িয়েছিল রাজ্যের। কারণ আক্রান্ত এবং সুস্থ হওয়ার ব্যবধান কমে আসছিল। তবে এদিনের পরিসংখ্য়ান বেশ আশ্বস্ত করবে রাজ্যের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের। দিন কয়েক আগে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজারের কম। তা ফের সামান্য বেড়েছে।
করোনা সংক্রমণের ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জন মানুষের। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবথেকে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন কলকাতা জেলার। সেখানে মৃত্য়ু হয়েছে ১৭ জনের। এরপর উত্তর ২৪ গরগণা জেলা রয়েছে। সেখানকার ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই রোগে।
আর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা সংক্রমণের ফলে মারা গিয়েছেন ৯ হাজার ১৯১ জন। অন্যদিকে, এখন রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্য়া ২০ হাজার ১৪৩ হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ২১১ জন। আর ওই রোগ থেকে সেরে উঠেছেন ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৭৭ জন মানুষ।
পরীক্ষার সংখ্যা এক লাফে অনেকটা কমিয়ে দেওয়ার জন্যই আক্রান্তের সংখ্যা কম দেখা যাচ্ছে। এমনই অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে এদিন পরীক্ষার সংখ্যা আগের দিনের থেকে বাড়ানো হয়েছে। বুধবার ৪২ হাজার ২৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছ। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা ছিল ৪১ হাজার ৫৬৯। রাজ্যে মোট ৯৬টি পরীক্ষাগারে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের বাইরে রয়েছে সেফ হোম। রাজ্যে মোট সেফ হোমের সংখ্যা ২০০। দেখা যাচ্ছে, সেখানে ভর্তি হওয়ার রোগীর সংখ্য়া অনেক কম। এখন মাত্র ৩৫৫ জন সেখানে রয়েছেন। হিসেব করলে দেখা যাবে গড়ে এক এটি সেফ হোমে দুজনের কম মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে মোট শয্যা রয়েছে ১১ হাজার ৫০৭টি।