Bengal Flood Situation: ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির জের। জল ছাড়ছে ডিভিসি। এর ফলে বাংলার একাধিক জেলায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রবিবার এই নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে ফোনও করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এমনই প্রেক্ষাপটে বাংলার জন্য জলস্তর বৃদ্ধির সতর্কতা জারি করল IMD। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে প্লাবনের সম্ভাবনা জোরালো।
গত কয়েকদিনে ঝাড়খণ্ডেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ক্রমেই সেখানকার নদীগুলির জলস্তর বেড়েছে। ফলে বাঁধ রক্ষায় জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন(DVC)।
ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ছে ডিভিসি। গত শনিবার এই নিয়ে নবান্নে বিশেষ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়। নবান্নের তরফে দাবি করা হয়, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই জল ছাড়ছে ডিভিসি। এর ফলে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্লাবনের আগেই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানায় নবান্ন।
গত শনিবার ডিভিসি ৯০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছিল। এরপর রবিবার ফের ১.২০ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছিল ডিভিসি।
এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে ভালই বৃষ্টি হচ্ছে। বীরভূম জেলার একাধিক অংশে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যে IMD-র পূর্বাভাস ৫ অগাস্ট থেকে দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুব জোরালো। ৬ থেকে ৮ অগাস্টের মধ্যে বেশিরভাগ জায়গাতেই হালকা থেকে মাধারি বৃষ্টি হবে।
সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জোড়া ঘায়ে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু অংশ প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির আগাম প্রস্তুতি নিতে তাঁদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা পরিস্থিতিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ নজরদারি রাখছে প্রশাসন।