Advertisement

Rattirer Sathi: আরজি কর-ক্ষোভে ফুঁসছেন মহিলারা,'রাত্তিরের সাথী' আনল নবান্ন

আরজি কর কাণ্ডের পর  মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার। রাতে কর্মরত মহিলাদের জন্য 'রাত্তিরের সাথী'-বিশেষ মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হবে। রাতে রাস্তায় পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ রাখা হবে। একা নয় প্রয়োজনে টিম হিসেবে কাজ করবেন মহিলারা। রাতে সমস্ত হাসপাতালে মহিলাদের সবরকম নিরাপত্তা দিতে হবে বলে জানান মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে 'রাত্তিরের সাথী'-প্রকল্পে প্রশাসনের তরফে সমস্ত মহিলাদের নিরাপত্তায় ১০টি পয়েন্টের কথা উল্লেখ করা হয়।

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 17 Aug 2024,
  • अपडेटेड 7:51 PM IST

Rattirer Sathi Project by West Bengal Government: আরজি কর কাণ্ডের পর  মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার। রাতে কর্মরত মহিলাদের জন্য 'রাত্তিরের সাথী'-বিশেষ মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হবে। রাতে রাস্তায় পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ রাখা হবে। একা নয় প্রয়োজনে টিম হিসেবে কাজ করবেন মহিলারা। রাতে সমস্ত হাসপাতালে মহিলাদের সবরকম নিরাপত্তা দিতে হবে বলে জানান মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে 'রাত্তিরের সাথী'-প্রকল্পে প্রশাসনের তরফে সমস্ত মহিলাদের নিরাপত্তায় ১০টি পয়েন্টের কথা উল্লেখ করা হয়।

'রাত্তিরের সাথী'-প্রকল্পে মহিলাদের কী কী সুবিধা?

- হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালগুলিতে নির্দিষ্ট, চিহ্নিত বিশ্রামঘর সঙ্গে শৌচালয় থাকবে। 
- রাত্তিরের সাথী নামে পুলিশের সঙ্গে মহিলা সিকিউরিটি ফোর্স রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। 
- সিসিটিভি এবং মনিটরিং করে সেফ জোন তৈরি করতে হবে। 
- সমস্ত মহিলাদের এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। যাতে থাকবে অ্যালার্ম ডিভাইস, যা স্থানীয় থানা এবং কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা থাকবে। এই অ্যাপটি পুলিশ শীঘ্রই তৈরি করে দেবে। 
- বিপদে পড়লে হেল্পলাইন নম্বর ১০০/ ১১২-এ কল করতে হবে। 
- সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিকিউরিটি চেক ও শ্বাস পরীক্ষা করা হবে।
- সমস্ত কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে বিশাখা কমিটি গঠন করতে হবে, যদি করা না থাকে।
- সমস্ত সরকারি কর্ম প্রতিষ্ঠানে এই ব্যবস্থা নিতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকেও যথাসম্ভব এই নিয়মগুলি মেনে চলার আর্জি করা হয়।
- একা নয়, রাতে মহিলাদের দলবদ্ধ অথবা জোড়ায় কাজ করতে হবে। কে কোথায় যাচ্ছেন তা সহকর্মীরা জানবেন। 
- বেসরকারি সংস্থাগুলিও যাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় উৎসাহ দেওয়া হবে।

এছাড়াও, মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল, মহিলাদের হস্টেলগুলিতে রাতে পুলিশ পেট্রোলিং হবে। হাসপাতালের প্রতিটি ফ্লোরে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাসপাতালগুলিতে প্রত্যেককে আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। প্রতিটি মেডিক্যাল হাসপাতালে সিকিউরিটি অফিসার নিয়োগ করা হবে। চিকিৎসক সহ সমস্ত মহিলাদের ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাবে না। যতটা সম্ভব হয় মহিলাদের নাইট ডিউটি কম দিতে হবে। শহর এবং জেলায় মহিলা এবং পুরুষ সিকিউরিটি গার্ডদের রাখতে হবে।

Advertisement

আর জি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার আটদিন পর চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মস্থলে রাতে মহিলাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে এই পদক্ষেপ নবান্নের।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement