শপথগ্রহণের দিন থেকে রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে যে সংঘাত শুরু হয়েছিল, তা থামার ইঙ্গিত নেই। কথা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। মমতার সমালোচনা উপেক্ষা করেই ফের ভোটপরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। এবার তাঁর গন্তব্য নন্দীগ্রাম।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ১৫ মে অর্থাত্ শনিবার তিনি নন্দীগ্রামে ভোটপরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বিএসএফ-এর হেলিকপ্টারে যাবেন নন্দীগ্রামে। সেখানে জানকীনাথ মন্দিরে পুজো দেবেন।
ইতিমধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল কোচবিহারে ভোটপরবর্তী হিংসাকবলিত এলাকায় গিয়েছিলেন। রাজ্যপালের সেই সফরে ছিল শীতলকুচিও। জগদীপ ধনখড়ের এই সফরের সমালোচনা করে কড়া ভাষায় চিঠিও লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে রিপোর্টও চেয়েছেন। এবার সন্ত্রাস কবলিত এলাকাগুলিতে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। ঠিক এখানেই বেঁধেছে সংঘাত। বৃহস্পতিবার প্রথমেই শীতলকুচি যাচ্ছেন ধনখড়। তাঁর এই সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি দিলেন মমতা।
মমতা চিঠিতে লিখেছিলেন, প্রটোকল অনুযায়ী রাজ্যপালের সফরসূচি ঠিক করেন সচিব। একই সঙ্গে যে এলাকায় রাজ্যপাল যাচ্ছেন, সেই এলাকার প্রশাসন ও কমিশনরারের সঙ্গে কথা বলে নেন সচিব। কিন্তু রাজ্যপালের কোচবিহার সফরের কথা জানতে পারলাম সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভাবে প্রটোকল না মানা দুর্ভাগ্যের বিষয়। আশা করি এই ধরনের সফরে আপনি বিরত থাকবেন। রাজ্যপালের কিছু বলার থাকলে তাঁকে বলতে পারেন বলেও লেখেন মমতা।
পাল্টা মমতাকে চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল লেখেন, 'ভোট পরবর্তী হিংসায় বহু মানুষ অসহায় অবস্থায় রয়েছেন৷ যা অস্বীকার করা যায় না৷ আমি সংবিধান মেনেই যা করার করছি৷ আশা করি আপনিও সংবিধান মান্যতা দেন৷ সেক্ষেত্রে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত৷ সংবিধানের আওতায় থেকেই আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য যা করার করব৷'