Adhir Chowdhury: লোকসভার আগে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কোমর বেঁধে লড়াইয়ে নেমেছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। সেই জোটে একত্রিত হয়ে লড়ছে কংগ্রেস-তৃণমূল। এরই মধ্যে ইন্ডিয়ার সদস্য তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেককে একযোগে আক্রমণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। ১৩ তারিখে অভিষেকের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগদান না করার কারণে বিজেপির সঙ্গে সেটিংয়ের দাবি তুলেছেন তিনি।
অধীর চৌধুরী দাবি করে বলেন, "যা সত্য তাই বলি। কয়লা চুরি, বালি চুরি, পাথর চুরি, গরু পাচার সব কিছুতে তাদের নাম। আজ পার্থ, অনুব্রতদের জেলে ভরে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই। দিদির মাথাব্যথা খোকাবাবুকে নিয়ে। কংগ্রেসকে বাংলায় নয় সারা ভারতবর্ষে খতম করতে অনেক দায়িত্ব নিয়েছিলেন খোকাবাবুর পিসি। আজ যখন পরাজিত, তিনি বুঝেছেন কংগ্রেসের কথাটা জীবনে না থাকলে আর গতি নেই। তাই কংগ্রেসকে অগতির গতি হিসেবে আশ্রয় করতে চাইছেন তিনি।"
তিনি আরও বলেন, "১৩ তারিখ ইন্ডিয়ার মিটিং, ১৩ তারিখেই ইডি ডাকল। এর পিছনে কোনও রহস্য আছে কিনা জানতে হবে। ইডি আর কাউকে ডাকছে না। ডাকলেও গ্রেফ্তার করতে চাইছে না। ১৩ তারিখটা অদ্ভূত। তার আগে নৈশভোজের আমন্ত্রণ। সব মিলেমিশে কেমন লাগছে? ইডি আর কাউকে ডাকছে না। ডাকলেও গ্রেফতার করতে চাইছে না। খোকাবাবুকে কিন্তু সবকিছু করবে কিন্তু গ্রেফতার করবে না।"
প্রসঙ্গত, এর আগেও দিল্লিতে আয়োজিত নৈশভোজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অধীর। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, "এটি কি নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তার অবস্থানকে দুর্বল করবে না?" অধীর জানিয়েছেন, নৈশভোজে অংশ নিতে হুট করে দিল্লি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ডিনারে যোগ না দিলে কিছুই হতো না। আকাশ ভেঙে পড়ত না। মহাভারত অপবিত্র হত না। কোরানও অপবিত্র হত না।" অধীর বলেন, দেশের অনেক মুখ্যমন্ত্রী নৈশভোজ বর্জন করেছেন।