মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও বর্ষার সেই নাগাড়ে বৃষ্টি উধাও দক্ষিণবঙ্গে। যেটুকু বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে খুব একটা স্বস্তি মিলছে না। বৃষ্টি থামলেই বহাল অস্বস্তি। এই আবহে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টি পূর্বাভাস
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। আজ জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাকি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার থেকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
কেমন থাকবে আবহাওয়া?
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রার হেরফের হবে না।
কলকাতায় কত তাপমাত্রা?
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৩৩ ডিগ্রির কাছে। সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৩ ডিগ্রি কম। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.১ ডিগ্রি বেশি। শহরে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯১ শতাংশ এবং ন্যূনতম ৭০ শতাংশ।
অন্য দিকে, বর্ষায় লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গে বন্যা হতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি জানান, উত্তরবঙ্গে জায়গায় জায়গায় জল জমছে। এমনটা প্রতিবার হয়। কালিম্পঙে ধস নেমেছে। সিকিমও বিধ্বস্ত। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, উত্তরবঙ্গে বন্যা হতে পারে। সেজন্য সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।পর্যটকদের উদ্দেশে বলেন, 'বর্ষার সময় পাহাড়ে অ্যাডভেঞ্চার না করতে গেলেই ভাল। এমনিতেই ওই অংশে ধস নামে। তাই নিরাপদ থাকতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে।' মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান, যে রিপোর্ট তিনি পেয়েছেন সেখান থেকে বুঝতে পেরেছেন, উত্তরবঙ্গে বন্যা হতে পারে। তিনি আরও জানান, উত্তরবঙ্গে ভূমিক্ষয়ের আশঙ্কা রয়েছে। প্রত্যেটি দফতরের আধিকারিকদের এই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে আধিকারিকদের যোগাযোগের নম্বর রাখতে হবে।