Monsoon In West Bengal: দীর্ঘ দাবদাহের পর অল্পবিস্তর বৃষ্টি হলেও গরম থেকে নিস্তার নেই। এই পরিস্থিতিতে স্বস্তির জন্য স্থায়ী বর্ষার পথ চেয়ে বসে থাকা ছাড়া কোনও উপায় নেই। সাধারণত জুন মাস মানেই বর্ষার আগমন সূচিত হয়। নতুন মাস শুরু হতে আর বেশি দেরি নয়। এর মধ্যেই বর্ষার খবর জানাল মৌসম ভবন। দেশে এ বার বর্ষা ঢুকতে সামান্য দেরি হবে। মঙ্গলবার এমন পূর্বাভাসই দিয়েছে মৌসম ভবন।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, দেশে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১ জুন। দেশের মধ্যে কেরলেই প্রথম বর্ষা ঢোকে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এ বছর কেরলে বর্ষা ঢুকতে ৪ দিন দেরি হতে পারে। অর্থাৎ, ৪ জুন বর্ষার প্রবেশ ঘটতে পারে কেরলে। গত ৫ বছরে এক বারই মাত্র সময় মেনে বর্ষা ঢুকেছে দেশে। ২০১৮ এবং ২০২২ সালে নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষা এসেছিল। ওই ২ বছরে বর্ষা ঢুকেছিল ২৯ মে। ২০১৯ এবং ২০২১ সালে নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক দিন পর বর্ষা ঢুকেছিল দেশে। ২০১৯ সালে বর্ষা ঢুকেছিল ৮ জুন। ২০২০ সালে ১ জুন বর্ষা ঢুকেছিল দেশে। ২০২১ সালে ৩ জুন দেশে পা রেখেছিল বর্ষা।
পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১০ জুন। এ বছর যে হেতু কেরলে ৪ দিন পরে বর্ষা ঢুকছে, তাই বাংলার ক্ষেত্রেও দেরি হবে কি না, এই নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আইএমডি বলেছে যে গত ১৮বছরে (২০০৫-২০২২) কেরালায় বর্ষা শুরু হওয়ার তারিখের অপারেশনাল পূর্বাভাস ২০১৫ ছাড়া সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে দেশের অন্য রাজ্যে কবে বর্ষা আসতে চলেছে, তা এখনও ঘোষণা করেনি মৌসম ভবন।
অন্যদিকে, চলতি মাসের আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি সঙ্গে ঝড় চলবে। বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। আগামী পাঁচ দিনে কোথাও তাপমাত্রার বিশেষ কিছু পরিবর্তন হবে না। এমনটাই জানিয়েছে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন-আগামী কয়েক ঘণ্টায় ঝড়-বৃষ্টি ৫ জেলায়, আবহাওয়ার বড় আপডেট