শুধুমাত্র বিরোধীদের জন্য তদন্ত। এদিকে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি অস্বাভাবিক বাড়লেও তার তদন্ত হয় না। সোমবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে ব্যবহারের অভিযোগ তুললেন শশী পাঁজা। এদিন বিজেপি-র ৬ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধির উল্লেখও করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী।
এদিন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, 'কেন্দ্রের নামজাদা মন্ত্রী, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের রামেশ্বর তেলির সম্পত্তি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর এই সম্পত্তি বৃদ্ধির কোনও তদন্ত হয় না। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারও সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানেও কোনও তদন্ত হয় না।'
এর পাশাপাশি রাজ্যের সৌমিত্র খাঁরও উল্লেখ করেন তিনি। শশী পাঁজা বলেন, 'রাজ্যে সৌমিত্র খাঁর সম্পত্তি রাতারাতি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজর নেই। অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি বেড়েছে। কাঁথির অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কেন তদন্ত হচ্ছে না?' প্রশ্ন তোলেন শশী পাঁজা।
এরপর তিনি বলেন, জগদম্বিকা পালের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। কিন্তু তাদের কিছু হচ্ছে না। হেমন্ত বিশ্বশর্মা বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে, অথচ তাঁর ক্ষেত্রে ইডি-সিবিআইয়ের তদন্ত হয় না।'
এরই মাঝে শশী পাঁজা বলেন, 'তদন্ত হোক। আমাদের তদন্তের মুখোমুখি হতে আপত্তি নেই। কিন্তু তদন্তের একটি সময়সীমা থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে তদন্ত দীর্ঘায়িত হয়ে যাচ্ছে। তদন্তের গতি নির্বাচন অনুযায়ী বাড়ছে, কমছে।'
এর আগেও সিবিআই এবং ইডি-র মাধ্যমে 'ভেনডেটা পলিটিক্সে'র অভিযোগ তোলেন শশী পাঁজা। গত মাসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ED-র তল্লাশির সময়ে এমনটা বলেন। তিনি আরও বলেন, 'এই রাজ্যে এমনটা হচ্ছে। আশা করব অন্য, বিজেপিশাসিত রাজ্যেও যেন তারা এই পথটা খুঁজে পায়।' তিনি বলেন, ২০২৪-এর আগে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থেকে CBI,ED-কে ব্যবহার করা হচ্ছে।