আবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। আবার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। এবার ঘটনাস্থল মালদা। এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর থানার ঋশিপপুর এলাকায়। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গত ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি করে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ-খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। যে ঘটনার পর নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল।
মালদায় বাড়িতে ঢুকে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক সিভিক
ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। কালীপুজোর দিন এই ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার প্রথমে হবিবপুর থানায় অভিযোগ করা হয়।কিন্তু পুলিশ কোনওরকম পদক্ষেপ করে না বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। পরে সোমবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এই ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার, জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
ওই মহিলার অভিযোগ, মনোজ মণ্ডল নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। কালীপুজোর রাতে ঘরে পোশাক বদলাচ্ছিলেন মহিলা। সেই সময়ই ঘরে ঢুকে অভিযুক্ত ধর্ষণ করেন। মহিলার চিৎকারে তাঁর পরিজনরা ঘরে এলে পালান অভিযুক্ত।
যদিও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, 'মিথ্যা অভিযোগ।' তাঁর আরও দাবি, ওই মহিলা তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
অন্য দিকে, নির্যাতিতা আরও অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর বাবা-মাকে মারধর করেছেন অভিযুক্তের পরিজনরা। এই ঘটনায় পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। উত্তর মালদা বিজেপির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেছেন যে, ধর্ষণের ঘটনায় দেশে শীর্ষস্থানে এখন পশ্চিমবঙ্গ।
কালী পুজোর রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিন্দনীয়... আসলে সবার কাছে একটাই বার্তা যাচ্ছে পুলিশ এই ধর্ষকদের উৎসাহিত করছে। এই পশ্চিমবঙ্গে শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মালদা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেছেন যে, হবিবপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে আইন কাউকে হাতে নিতে দেবে না । পুলিশ কে পুলিশের কাজ করতে দিতে হবে আর বিজেপি যত কম কথা বলে তত ভাল...।'