বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের তৎপরতায় বাড়ি ফিরলেন বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিক মানিক দেবনাথ। অবৈধভাবে বাংলাদেশে (Bangladesh) অনুপ্রবেশের অভিযোগ ছিল মানিকের বিরুদ্ধে। সাজাও হয়। কিন্তু সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ফেরান যাচ্ছিল না তাঁকে। অবশেষে সাংসদের উদ্যোগে ফিরলেন নিজের দেশে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত (Hili Border) সংলগ্ন ধরন্দার বাসিন্দা মানিক দেবনাথ। বাবা বিনোদ দেবনাথ পেশায় কাঠমিস্ত্রী। মানিকও বাবার সঙ্গে একই পেশায় যুক্ত ছিলেন। পরিবারের দাবি, ২০১৯ সালের ৮ মার্চ উত্তর ঘাসুড়িয়ার কাঁটাতারবিহীন এলাকা দিয়ে ভুল করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন তিনি। সেখানে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র হাতে ধরা পড়ে যান মানিক। বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার একটি জেলে রাখা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু সাজার মেয়াদ ফুরোলেও মানিককে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছিল না।
এরপর বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দারস্থ হন মানিকের বাবা বিনোদবাবু। সবকিছু শুনে সাংসদই বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে চিঠি আসে রাজ্য সরকারের কাছে। এরপর রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ ও বিএসএফ-এর আধিকারিক পর্যায়ে চিঠি দিয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। অবশেষে ১৩ জুলাই বাংলাদেশ হিলির ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে মানিককে ভারতের হাতে তুলে দেবে বলে ঠিক হয়।
এই বিষয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, 'মানিকের বাবা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বছরখানেক আগে। মানিক বাইক নিয়ে ঢুকে পরেছিল বাংলাদেশে। সেখানে ধরা পরার পর তাঁর সাজা হয়। কিন্তু সাজা শেষ হলেও তাঁকে ফেরান যাচ্ছিল না বিবিধ আইনি জটিলতায়। এরপর আমি বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করতেই করোনার প্রভাব শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় সীমান্তের ইমিগ্রেশান চেকপোস্ট। ফলে হস্তান্তর প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে লেগে থাকার পর দুই দেশের হাইকমিশন, বিএসএফ, বিজিবি ও জেলা প্রশাসন মিলে দিনক্ষণ চূরান্ত করে।'
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বিদেশ থেকে দেশের দুই নাগরিককে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন সুকান্তবাবু। মানুষের পাশে থাকতে পেরে স্বভাবতই খুশি তিনি। অন্যদিকে সাংসদের উদ্যোগে মানিককে ফিরে পেয়ে আপ্লুত তাঁর পরিবারও।