ফরাক্কার গঙ্গা নদীতে ব্যারেজ তৈরি হবার পর ইলিশ মাছ চাষে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ফরাক্কা থেকে রাজমহল, বক্সার বালিয়া হয়ে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ পর্যন্ত গঙ্গা নদীতে ইলিশ মেলা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এবার কেন্দ্রীয় সরকার নমামী গঙ্গা প্রকল্পে মাধ্যমে ফারাক্কা থেকে প্রয়াগরাজ পর্যন্ত ইলিশ সহ বিভিন্ন মাছের মাছের পরিমান বৃদ্ধি করতে এক অভিনব কর্মসূচি গ্রহণ করল। ২০২৩ সালের মধ্যে গঙ্গার সর্বত্র ইলিশ সহ বিভিন্ন মাছের বিছরণ ক্ষেত্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আশাবাদী এই কাজে নিযুক্ত সিনিয়ার বৈজ্ঞানিক মিতেস রামটেক। ফরাক্কার বুকে ইলিশ মাছের পরীক্ষামূলক কর্মসূচির কাজ শুরু হয়েছে। পদ্মা হয়ে ফরাক্কা বাঁধ পেরিয়ে ইলিশ মাছ যাতে গঙ্গায় আসতে পারে তার জন্য ২৫/২৫ এর একটি লকগেট করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজমহলেও একটি লক ক্যানেল তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গঙ্গার জলে একলক্ষ রুই, কাতলা, কালবাউশ ও ইলিশ মাছের চারা ছাড়া হয়েছে তাদের তরফে। ইলিশ মাছ গুলোকে ট্যাগিং করে গঙ্গার জলে ছাড়া হয়েছে। যাতে সহজেই ইলিশ মাছের বিবরণ ক্ষেত্র বুঝতে পারেন তারা। নমামী গঙ্গা প্রকল্পে গঙ্গানদীর স্বচ্ছতা ও মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রার উন্নতিকল্পে ইলিশ মাছের উন্নতি মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কেন্দ্র সরকার। এদিন ফরাক্কার তালতলা ঘাট থেকে নৌকায় করে গঙ্গার মাঝবরাবর গিয়ে ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারের হাত দিয়ে গঙ্গায় ছাড়া হয় একলক্ষ মাছের চারা, এছাড়াও তিনি মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ছোট মাছ না ধরার পরামর্শ দেন।