চরম অমানবিকতার সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া (Bankura)-র জঙ্গল মহল। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বাড়িতে দু'পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় (Chained on both legs) জীবন কাটাচ্ছেন সিমলাপালের শালবনি গ্রামের বাসিন্দা, এক সময়ের মেধাবী ছাত্র ( Meritorious Student) প্রশান্ত মাণ্ডি (Prasanta Mandi)। পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশের পর চেষ্টা শুরু চাকরীর। ২০১৬ সালে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে পার্শ্ব শিক্ষকের ইন্টারভিউ দিয়ে বাড়ি ফেরার পর সম্পূর্ণ অন্য এক প্রশান্তকে দেখলেন বাড়ির লোক। এতো দিনের কষ্টার্জিত সমস্ত শংসাপত্র পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করলো সে। তারপর থেকে মানসিক অবসাদ (Mental Exhaustion)-এ গৃহবন্দী। এখন 'অসুস্থ' এই ছেলেকে বাড়িতে রেখে লোহার চেন পরিয়ে কাজে যান বৃদ্ধা মা।