মাটির নীচে মিলল প্রাচীন লোহার সিন্দুক। এই সিন্দুকে কী রয়েছে তা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয় উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জ পুরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড উকিলপাড়ায়। বাড়ি তৈরি করতে গিয়েই এই সিন্দুকটি নজরে আসে শ্রমিকদের। সিন্দুক দেখে কাজ থামিয়ে দিয়ে জমির মালিককে খবর দেওয়া হয়। সিন্দুকের খবর ছড়াতেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন আশপাশের মানুষজন। সেখানে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশও। এলাকায় গুজব ছড়ায় যে, প্রাচীন সিন্দুকটির ভেতর পুরনো মুদ্রা বা মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে, এরপরেই হইচই পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, বন্দর লাগোয়া ওই এলাকায় রয়েছে বহু পুরনো বাড়ি এবং মন্দির। ব্রিটিশ আমলে নদীপথ দিয়ে জাহাজে করে স্থানীয় বন্দর বাজারে ব্যবসা করতে আসতেন ব্যবসায়ীরা। তাই লোহার সিন্দুক ঘিরে কৌতূহল তৈরি হয় এলাকাবাসীদের মধ্যে। এর আগে রায়গঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে মাটির নীচ থেকে এমন বহু প্রাচীন জিনিস পাওয়া গিয়েছে। তবে শহরাঞ্চলে এমন প্রাচীন জিনিস পাওয়া যায়নি। ফলে সিন্দুকটি নিয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকে সাধারণ মানুষ থেকে ইতিহাসবিদদের মধ্যে। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে লোহা কাটার বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে বাক্সের তালা কাটতেই বের হয়ে আসে কতগুলি অ্যালুমিনিয়াম বাসনপত্র। কিন্তু এই জিনিসগুলি কার তা নিয়ে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব।