ভারতের বাজারে চিন বিরাট মাত্রায় ব্যবসা করত। চিন থেকে ভারতে প্রচুর পরিমাণে পণ্য আমদানি করা হয়। কিন্তু গত কয়েক মাসে, ভারত চিনের ব্যবসায়িক ফ্রন্টে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে। যা এখন চিনের অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলছে।
আসলে বিশ্বজুড়ে চিনা পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চিনে মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি তথ্য অনুযায়ী, কম রপ্তানি চাহিদার কারণে আগস্টে উৎপাদন কমে গেছে।
চিনের পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং একটি সরকারি শিল্প গোষ্ঠী দ্বারা প্রস্তুত মাসিক ক্রয় ব্যবস্থাপনা সূচক, জুলাই মাসে ৫০.৪ থেকে আগস্টে ৫০.১ এ নেমে এসেছে।
কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে চিনের রফতানির চাহিদা দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া, জুলাই মাসে বন্যা এবং করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাপনার কারণে উৎপাদন ও ভোগও কার্যক্রমও হ্রাস পেয়েছে।
চিনা বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক সিআইসিসির গবেষকরা জানিয়েছেন, চাহিদার মন্দা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থাৎ চিনে রপ্তানি ক্ষেত্রে আরও ধাক্কা লাগবে।
এর আগে জুলাই মাসে চিনের রপ্তানি ও আমদানি বেড়েছিল। কিন্তু এর বৃদ্ধির গতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এক বছর আগে এই মাসের তুলনায় জুলাই মাসে চিনের রপ্তানি ১৮.৯ শতাংশ বেড়ে ২৮২.৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জুন মাসে চীনের রপ্তানি ৩২.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর পর্যন্ত মোবাইল বাজারে চিনই আধিপত্য লাভ করেছিল। কিন্তু এখন ভারত চিনকে কঠোর প্রতিযোগিতা দিচ্ছে। ভারতের উৎপাদন খাত সরকারের উত্পাদন লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিম থেকে অগ্রগতি পেয়েছে। যে কারণে মোবাইল ফোন রপ্তানিতে ২৫০ শতাংশের বিশাল বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী চিনের পর ভারত স্মার্টফোনের সবচেয়ে বড় বাজার হয়ে উঠেছে।