বর্তমানে বিশ্ববাসী করোনা ভ্যাকসিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তবে চলতি বছরের শেষেই ভ্যাকসিন মিলতে পারে বলে আশা জাগাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যেই এক আশঙ্কার কথা শোনালেন ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির আধিকারিকরা। বাজারে করোনার ভ্যাকসিন আসার সঙ্গে সঙ্গে এটির জাল ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে পারে একদল অসাধু ব্যবসায়ী।
independent.co.uk প্রতিবেদন অনুসারে, ইতিমধ্যে ব্রিটেনের প্রশাসন জাল করোনা ভ্যাকসিনের বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মহামারির প্রথমের দিনগুলিতে এভাবেই নকল পিপিই , মাস্ক বিক্রির চেষ্টাও চালান হয়েছিল।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির ইকোনমিক ক্রাইম সেক্টরের ডায়রেক্টর গ্রেইম বিগর বলেছেন, জালিয়াতিভাবে একটা দল জাল ভ্যাকসিন তৈরির চক্র চালানোর চেষ্টায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে গবেষকরা ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার সাথে সাথে লোকদের নকল টিকা দেওয়ার দলগুলি সক্রিয় হয়ে উঠবে। আমরা এটি বন্ধ করার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি।
শীর্ষস্থানীয় এক ব্রিটিশ কর্মকর্তা বলেছেন,জালিয়াতদের দলটি করোনার ভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত বহু অপরাধমূলক ঘটনা চালাচ্ছে। করোনার জাল টেস্ট কিট বিক্রি করার চেষ্টাও হয়েছিল। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে ভ্যাকসিন তৈরির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হ্যাকাররা আক্রমণ করেছে। ভ্যাকসিন সম্পর্কিত তথ্য চুরির উদ্দেশ্যেই হ্যাকাররা এই হামলা চালিয়েছিল।
ফাইজার, অক্সফোর্ড এবং নোভাভ্যাক্স সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যায় যে কয়েক মাসের মধ্যে এই ভ্যাকসিনগুলি বাজারে চলে আসতে পারে। ফাইজার সম্প্রতি দাবি করেছে ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ের তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকর হয়েছে।