Advertisement

বিশ্ব

Pakistan Flash Flood: হড়পা বানে সব শেষ পাকিস্তানে, গণকবরে লাশের স্তূপ, কয়েক হাজার মৃত্যু, হাড়-হিম করা ১০ ছবি

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • পেশোয়ার,
  • 18 Aug 2025,
  • Updated 2:14 PM IST
  • 1/10

পাকিস্তানে চলছে গণকবর। লাশের পর লাশ মিলছে কাদা-মাটি জল মাখামাখি অবস্থায়। এই মুহূর্তে মৃত্যু উপত্যকার আরেক নাম পাকিস্তান। হড়পা বানে কার্যত মাটিতে মিশে গিয়েছে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখন ৩৪০ টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কয়েকশো মানুষ নিখোঁজ। মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার পেরিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

  • 2/10

গত ১৪ থেকে ১৬ অগাস্ট পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ভয়াবহ হড়পা বানে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বিরাট এলাকা। এরই মধ্যে আবার ওই এলাকায় উদ্ধারকাজে যাওয়া হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। ৫ জন উদ্ধারকারী মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা পাকিস্তানের। 

  • 3/10

হড়পা বানের কাদা-জল গ্রাস করেছে একাধিক গ্রাম। গাড়ি, বাড়ি, দোকান, রাস্তা সব শেষ। গ্রামের পর গ্রাম বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগেও যে জায়গাগুলিতে লোকের ঘন বসতি ছিল, সেই জায়গাগুলি মানচিত্র থেকেই মুছে গিয়েছে। শুধুই কাদা-জল। সেই কাদা সরালেই মিলছে দেহ আর ধ্বংসস্তূপ। 
 

  • 4/10

টানা কয়েকদিন প্রবল বর্ষণ ও আকস্মিক পাহাড়ি ধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুনের চাঘরজি এলাকা। পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক, বাশোনি নামের একটি পুরো গ্রাম একেবারেই মানচিত্র থেকে মুছে গিয়েছে বলে জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রীর খাইবার পাখতুনখোয়া বিষয়ক সমন্বয়ক ইখতিয়ার ওয়ালি খান।
 

  • 5/10

তিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। চাঘরজি এলাকায় যে ধ্বংসযজ্ঞ দেখলাম তা ভাষায় বোঝানো কঠিন। বাশোনি গ্রাম আর নেই, জায়গাটা এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ।
 

  • 6/10

ইখতিয়ার ওয়ালি খানের দাবি, কেবল দির জেলাতেই মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই বহু দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং অবিরাম চলছে গণকবর খোঁড়ার কাজ। তিনি বলেন, 'গণকবর দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজ চোখে এই বিভীষিকা দেখে এলাম।'

  • 7/10

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক পরিবার এখনও নিখোঁজ। প্রবল বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বহু জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছতে না পারায় বহু গ্রাম এখনও বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
 

  • 8/10

পাহাড়ি এলাকায় টানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে উদ্ধারকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী মাঠে নেমেছে। হেলিকপ্টারের সাহায্যে জরুরি ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। তবে আবহাওয়ার কারণে আকাশপথেও অনেক সময় ব্যাঘাত ঘটছে।
 

  • 9/10

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘরহারাদের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে রাখা হচ্ছে। কিন্তু প্রচণ্ড ভিড় এবং সীমিত সম্পদের কারণে সাধারণ মানুষ মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন।
 

  • 10/10

ইখতিয়ার ওয়ালি খান জানান, তিনি নিজে বুনের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলি ঘুরে দেখেছেন। চারদিকে কাদা, ভাঙা ঘরবাড়ি আর মানুষের কান্না। তিনি বলেন, মানুষজন প্রিয়জনের  দেহ চিনতে পারছে না। অনেককে একসঙ্গে কবর দিতে হচ্ছে।  স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ত্রাণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনো পৌঁছয়নি। অনেক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কেপি প্রদেশে আগামী কয়েক দিনও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এতে করে আরও ভূমিধসের আশঙ্কা থাকছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাহাড়ি এলাকায় অপরিকল্পিত নির্মাণকাজ এবং বন উজাড়ও এই বিপর্যয়ের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। সরকার দ্রুত পুনর্বাসন ও ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বিশাল ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় সেই সাহায্য কতটা যথেষ্ট হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

Advertisement
Advertisement