যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন। স্বভাবতই তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেন হতে চলেছেন দেশের নতুন ফার্স্টলেডি। যিনি আবার পেশায় একজন শিক্ষিকা। স্বামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এবার জিলের ঠিকানা হতে চলেছে হোয়াইট হাউজ। সেখানে হাজার ব্যস্ততার মধ্যেই তিনি শিক্ষকতা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন জিল।
এটি যদি তিনি সত্যিই করতে পারেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ২৩১ বছরের ইতিহাসে প্রথম ফার্স্ট লেডি হিসেবে বিরল একটি রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ফার্স্ট লেডিদের নানা ধরনের কাজ করতে হয়। সেসব সামলে অন্য কাজ করা কঠিন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ফার্স্ট লেডি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এভাবে অন্য পেশায় থাকেননি।
জিল অবশ্য মার্কিন মুলুকের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। ১৯৬৬ সালে নিলিয়া হান্টারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বাইডেন। তাঁদের তিন সন্তানও ছিল। কিন্তু তৃতীয় সন্তান জন্মের মাত্র এক বছর পর ঘটে যায় ভয়াবহ ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় বাইডেনের স্ত্রী ও কন্যার। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর তিন বছর পর বাইডেনের ভাইয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয় জিলের সঙ্গে । ওই সময় সিনেটর ছিলেন বাইডেন আর জিল তখনও কলেজছাত্রী। শোনা যায় জিলকে বিয়ের জন্য পাঁচবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাইডেন।
প্রথমে প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় বিল স্টিভেনসনের সঙ্গে জিলের বিয়ে হয়েছিল। ২৪ বছর বয়সে এসে বিচ্ছেদ ঘটে তার। সে কারণে এমন কাউকে খুঁজছিলেন জিল, যার হাত আর কখনো ছাড়তে হবে না। শেষ পর্যন্ত ১৯৭৭ সালে জিল জেকবসকে বিয়ে করেন বাইডেন৷ তাঁদের একটি কন্যা রয়েছে, নাম অ্যাশলি৷
জিল পরে বলেছেন, আমরণ জো বাইডেনের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেননি। বিয়ের পর বাইডেনের ছেলেদের নিজের সন্তানের মতো করেই দেখেছেন জিল বাইডেন।
বারাক ওবামার সময় জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার ফলে আট বছর ধরে মার্কিন সেকেন্ড লেডি হিসেবে সম্মান পেয়েছেন জিল বাইডেন।
জিল বাইডেনের জন্ম ১৯৫১ সালের জুনে নিউ জার্সিতে। পাঁচ বোনের মধ্যে বড় জিল বেড়ে উঠেছেন ফিলাডেলফিয়ার উইলো গ্রোভ শহরে।
৬৯ বছর বয়সী জিল বাইডেন কয়েক দশক কাটিয়েছেন শিক্ষকতা পেশায়। দুটি বিষয়ে স্নাতোকোত্তর করেছেন তিনি। পরে ইউনিভার্সিটি অব দিলাওয়ার থেকে শিক্ষায় ডক্টরেট করেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসের আগে তিনি একটি কমিউনিটি কলেজ, একটি সরকারি স্কুল ও কিশোরদের একটি মানসিক হাসপাতালে শিক্ষকতা করেছেন।