আমেরিকার উপকূলভাগ বড়সড় বন্যার মধ্যে পড়বে। এই শতাব্দীর তিনের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তেমন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর করাণ হিসেবে বলা হচ্ছে, চাঁদের গতিবিধি। আর এর জেরে সমুদ্রের জলের স্তরে বদল হবে। নাসার গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
এর মূল কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নিজের কক্ষপথে চাঁদের নড়নচড়ন। যা প্রথম নজরে এসেছিল অষ্টাদশ শতাব্দীতে। যা শেষ হতে সময় নেয় ১৮.৬। চাঁদের মধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর জোয়ারে প্রভাব ফেলে।
চাঁদের এই চলাফেরা চক্রের প্রথম অর্ধে পৃথিবীর দৈনিক জোয়ার কম হয়। যেখানে জোয়ার অন্য সময়ের থেকে কম শক্তিশালী হয়। আর ভাঁটা অন্য সময়ের থেকে বেশি শক্তিশালী হয়।
আর পরের অর্ধে এই পরিস্থিতি পুরো উল্টে যায়। যেখানে জোয়ার বেড়ে যায়। আর ভাটা কমে যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার আরও কিছু কারণ রয়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের দল স্তর বেড়ে চলেছে।
আর এর সঙ্গে এবার যুক্ত হবে চাঁদের নড়নচড়ন। যা দেখা যেতে পারে ২০৩০-এর পর থেকে। ওই দশকের মাঝের বছরগুলিতে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাসার বিজ্ঞানী বন হ্যামলিংটন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ঘটনা হল, আমরা দেখতে পেয়েছি সমুদ্রের জলের স্তর বেড়েছে। আর এর কারণ হল বিশ্ব উষ্ণায়ন। আর সে কারণে সব জায়গার সমুদ্রের জল বেড়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, চাঁদের এই প্রভাবের ফলে জোয়ার প্রভাবিত হয়। আর তাই আমরা দেখতে পেয়েছি, জলের বেড়ে চলার জন্য বন্যার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ২০৩০ এবং ২০৪০ সালের মাঝামাঝি তা হতে চলেছে।
জোয়ার-ভাঁটা খেলে আমেরিকার এমন ৮৯টি জায়গাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেগুলি আমেরিকার উপকূলবর্তী এলাকার মধ্যে পড়ছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ নামে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
সেই গবেষকদলে ছিলেন নাসার কয়েকজন বিজ্ঞানী। যাঁরা সমুদ্রের জলস্তর নিয়ে কাজ করছিলেন। তাঁরা মূলত আমেরিকার উপকূলবর্তী অঞ্চলে এর প্রভাব দেখার কাজ শুরু করেছিলেন। তবে এর প্রভাব দুনিয়ার সব উপকূলের অঞ্চলেই পড়তে পারে।