COVID-19 থেকে Nipah, মারণ সব ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে বারবার উঠে আসে বাদুড়। করোনা যখন প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ল তখনও বেশ কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়, বাদুড়ের থেকে ছড়িয়েছে এই মারণ ভাইরাস।
তবে শুধু নিপা বা করোনা নয়, অতীতেও ভাইরাল মহামারিতে বাদুড়-তত্ত্ব এসেছে বারবার। প্রশ্ন হল, মারণ ভাইরাস কেন বাদুড় থেকেই ছড়ায়?
সম্প্রতি একটি স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, বাড়ুদের শরীরে মিলেছে নিপা, ইবোলার মতো মারাত্মক সব ভাইরাস। যে সব ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারির রূপ নিতে পারে।
শিকাগোর ফিল্ড মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি-র পশু বিশেষজ্ঞ ব্রুশ পিটারশনের বক্তব্য, বাদুড়ের মধ্যে কিছু বিরল বৈশিষ্ট রয়েছে, যার জন্য প্রচুর ভাইরাস ওরা বহন করে।
বাদুড় অধিকাংশ সময়ই একসঙ্গে অনেকে মিলে থাকে। টেক্সাসে এরকম একটি গুহা রয়েছে, যেখানে গরমকালে ১ কোটির বেশি বাদুড় বাস করে। জন্মও নেয়।
সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ভাইরাল বৈচিত্র্যে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে রোডেন্টিয়া (ইঁদুর) এবং চিরোপটেরা (বাদুড়) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাদুড় হল ইঁদুরের পরে পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বাধিক বৈচিত্র্যময় স্তন্যপায়ী প্রাণী, যা সমস্ত স্তন্যপায়ী প্রজাতির প্রায় ২২ শতাংশ।
পৃথিবীতে ১২০০ এর অধিক প্রজাতির বাদুড় রয়েছে। এই প্রাণীটি অ্যান্টার্কটিকা ব্যতীত প্রতিটি মহাদেশে বসবাস করে।
বাদুড়ই একমাত্র অবাধে উড়তে পারা স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং তাদের জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তারা উড়ন্ত অবস্থায় থাকে।
বিজ্ঞানীরা বারবার দেখিয়েছেন যে, একটি বাদুড় মারাত্মক ভাইরাস বহন করলেও নিজে অসুস্থ না হয়ে অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম।
অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর তুলনায় গড়ে বেশিদিন বাঁচে এবং সহজেই একই স্থান থেকে অন্য স্থানে উড়ে চলে যায়।
তাই তার দেহ থেকে যেকোনও ধরনের রোগ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিতে তারা অত্যন্ত সফল।
কেরলে নিপা ভাইরাস সংক্রমণ যে ভাবে ছড়াচ্ছে, এর পিছনেও বাদুড়-তত্ত্ব দেখছেন বিজ্ঞানীরা।