সিরাম ইনস্টিটিউটের মুকুটে নতুন পালক যোগ হতে চলেছে। এবার গোটা দুনিয়াকে করোনা মুক্ত করবে ভারতের এই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা।
বিশ্বব্যাপী করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'-র অনুমোদন পেল সিরাম ইন্সটিটিউট।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা বানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতিতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং দক্ষিণ কোরিয়ার এসকে বায়ো উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দেওয়ার কথা জানানো হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই টিকা ব্যবহারের অন্তর্বর্তীকালীন সুপারিশ করার কয়েক দিনের মধ্যেই অনুমোদন দেওয়া হল।
ওই প্যানেল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দিতে বলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের যে ধরন দেখা দিয়েছে সেটাসহ সব দেশেই প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণে লাগাম টানতে টিকাটি প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
তুলনামূলক গরিব দেশগুলিতে যাতে করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই কারণেই WHO-এর এই তৎপরতা।
অতিমারী মোকাবিলায় বিশ্বের সব দেশকে করোনার টিকাকরণের আওতায় আনার তৎপরতা নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটকে সেই কর্মসূচির মধ্যে এনে ফেলল WHO।
ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১৯০টি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে। এই প্রতিটি দেশেই করোনার টিকা এবার নিশ্চিত করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এর আগে, সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনেওয়ালা জানিয়েছিলেন, তাঁর সংস্থা স্বল্প আয়ের দেশগুলির জন্য করোনা টিকার প্রতিটি ডোজ তিন ডলারে বিক্রি করবে। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ছাড়াও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩১ ডিসেম্বর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ফাইজার এবং বায়োএনটেকের করোনা টিকাকেও ছাড়পত্র দিয়েছিল।
WHO-এর তরফে ডক্টর মারিযেঞ্জালা সিমাও জানিযেছেন, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের যে দেশগুলি করোনার টিকা সংগ্রহ করতে পারেনি, তাঁদের স্বাস্থ্যকর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণের আওতায় আনতে সাহায্য করবে এই উদ্যোগ।