প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মার্কিন কংগ্রেস দ্বিতীয় দফায় ইমপিচ করল। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল, যেখানে কোনো প্রেসিডেন্টকে দ্বিতীয়বারের মতো ইমপিচ করা হোল।
জানা যাচ্ছে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হয়েছে ২৩২-১৯৭ ভোটে। ১০ জন রিপাবলিকানও এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
আর ৬ দিন পরে ‘প্রাক্তন’ হয়ে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সরকারি ভাবে ক্ষমতাসীন হবেন জো বাইডেন।
আমেরিকান সংসদের নিম্নকক্ষে নজিরবিহীন ভাবে দ্বিতীয় বার ইমপিচড হলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা রদবদলের এক্কেবারে মুখোমুখি এসে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রথম এবং একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় বার ইমপিচড হলেন তিনি। আমেরিকার ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাঁকে ইমপিচ করা হচ্ছে। এর আগে যে দুই প্রেসিডেন্টকে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস ইমপিচ করেছিল, তাঁরা হলেন বিল ক্লিনটন ও অ্যান্ড্রু জনসন।
ক্যাপিটল হামলায় বিদ্রোহীদের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সেনেটের হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচড করল।
সেনেটারদের অভিযোগ, অল্পদিন আগে ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের যে তাণ্ডব হয়, যাতে ৫ জন মারা গিয়েছেন, তার পিছনে ট্রাম্পের উস্কানি রয়েছে। তাই তাঁকে ইমপিচমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
এর আগে ২০১৯ সালে ইউক্রেন কেলেঙ্কারির কারণে কংগ্রেসে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথম দফায় ইমপিচ করা হয়েছিল।
জানা যাচ্ছে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে যখন ট্রাম্পের ইমপিচ প্রক্রিয়া চলছিল, ট্রাম্প নাকি তখন রাগান্বিত ভঙ্গিতে টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
ইমপিচ প্রক্রিয়া চলাকালে টেলিভিশনের পর্দায় ট্রাম্প যখন দেখেন যে, তাঁর দল রিপাবলিকানেরই কয়েকজন সদস্য মার্কিন কংগ্রেস ভবনে হিংসার ঘটনায় তাঁকে দায়ী করছেন, তখন তিনি আরও রেগে যান।
ইমপিচড হওয়ার বিবৃতি দেন ট্রাম্প, সেখানে ইমপিচমেন্ট নিয়ে কোনো কথাই বলেননি তিনি। ওই বার্তায় তিনি তাঁর সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমার সত্যিকারের কোনো সমর্থক রাজনৈতিক হিংসায় অংশ নিতে পারে না। আমার সত্যিকারের কোনো সমর্থক কখনো আইনকে বা আমাদের পতাকাকে অসম্মান করতে পারে না।’
তবে, মেয়াদ শেষের আগে আজই ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস থেকে পাকাপাকি ভাবে সরানো হবে, এমন সম্ভাবনা কম। আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী, হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে যদি কোনও প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা হয়, তার পরেও তিনি নিজের পদে থাকতে পারেন। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সেনেট।
নিয়ম অনুযায়ী ট্রাম্পের এই ইমপিচমেন্ট যাবে এ বার সেনেটে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ভোটাভুটিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে, ১৯ জানুয়ারির আগে সেনেটে এ নিয়ে আলোচনার কোনও সুযোগ নেই।