সারা বিশ্বের গবেষণা দলগুলোর কাছ থেকে ৪০টির কাছাকাছি বৈজ্ঞানিক প্রস্তাব এসেছে। কারণ প্রত্যেকে একটি গ্রহাণুর টুকরো পেতে যেন লাইন লাগিয়েছেন। যার মধ্যে জীবনের উপাদান লুকিয়ে রাখা। নয়টি দেশ থেকে ওই প্রস্তাবগুলোর মাধ্যমে ৭৪টি নমুনা পাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যা সংগ্রহ করা মোট গ্রহাণুর নমুনার ২৩০ মিলিগ্রাম হবে। জাপানের কাছে সেই প্রস্তাব এসেছে।
হায়াবুসা ২ নামের এক মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সি-টাইপ সেটা মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল। গ্রহাণু রিউগু থেকে উপাদান সংগ্রহ করে এনেছে। জাপানি গবেষকরা তখন নমুনায় ২০টি অ্যামাইনো অ্যাসিড শনাক্ত করেন।
অ্যামাইনো অ্যাসিড
অ্যামাইনো অ্যাসিড হল অণু যা প্রোটিন গঠনের কাজে একত্রিত হয়। এবং সেটা জীবনের বিল্ডিং ব্লক যেন। এই অণুগুলি জীবিত প্রাণীর জন্য অপরিহার্য। কারণ তারা খাদ্য, বৃদ্ধি, শরীরের কলা মেরামত করতে এবং অন্যান্য বিভিন্ন শারীরিক কার্য সম্পাদনে সহায়তা করে। এগুলি শরীরের শক্তির উৎস হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ৫ হাজার টাকার মধ্য়ে সেরা স্মার্টফোন কোনগুলো? দেখে নিন
আরও পড়ুন: পাঠানের লুকে নয়া অ্যাডে শাহরুখ, 'তুফান এসেছে,' বলছে টুইটার
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে কোন স্কিমে কত সুদ মিলছে, জেনে নিন
আগেও তা মিলেছে
এর আগে পৃথিবীতে পড়া গ্রহাণু থেকে এই অ্যামিনো অ্যাসিড শনাক্ত করা হয়েছিল। তবে সেগুলো অল্প পরিমাপ করা হয়েছিল। কারণ তারা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে প্রবেশের সময় যেন হারিয়ে গিয়েছিল। যা পুড়ে যায় এবং প্লাজমা তৈরি করে। এই মূল উপাদানগুলিো মধ্যে ২০টি আবিষ্কার সৌরজগতের সৃষ্টি থেকে এই অবশিষ্টাংশগুলোতে জৈব উপাদানের উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
ওই আবিষ্কারের পর বিভিন্ন গবেষণা দলকে চলতি বছরের ২২ এপ্রিলের মধ্যে পরিকল্পিত বিশ্লেষণের জন্য নমুনার অংশ সংগ্রহের অনুরোধ করে একটি বৈজ্ঞানিক প্রস্তাব জমা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
Ryugu স্যাম্পল রিসার্চ ওপেন কল কমিটি ১২টি দেশের জমা দেওয়া আবেদন নিয়ে আলোচনা করেছে। এবং প্রস্তাবগুলির মধ্যে ৪০টি বেছে নিয়েছে। তারপর ১৩ জুন Hayabusa2 নমুনা বরাদ্দ কমিটি অনুমোদন করেছে।
গ্রহাণু
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্রহাণু সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। কিন্তু সেগুলো গ্রহের তুলনায় অনেক ছোট। সৌরজগতের প্রাচীনতম বস্তুগুলোর মধ্যে একটা। তাই পৃথিবী কীভাবে গঠিত এবং বিবর্তিত হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করতে পারে। হায়াবুসা ২ মিশনটি সৌরজগতের গ্রহগুলোর উৎস উত্তর খোঁজার উদ্দেশ্য নিয়ে চালু করা হয়েছিল।