ভুটানে তামাকে আর নিষেধাজ্ঞা থাকছে না
তামাকজাত পন্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চলেছে দেশ ভুটান। ২০১৭ সালে ভুটানের সংবিধানের ১১/বি ধারা অনুযায়ী ভুটান দেশে সমস্ত রকমের তামাকজাত পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রয়াল গভঃ অফ ভুটান। বর্তমান করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে এই আইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিবেশী দেশটি।
কড়া আইন শিথিল
করোনার প্রথম ঢেউ থেকেই তামাকজাত পন্যের উপর থেকে প্রতিবেশী দেশ তাদের আইন কিছুটা শিথিল করেছিল। ২০১৭ সালের আইন পরিবর্তন করে ২০২০ সালে তামাকজাত পণ্যকে কিছু নির্বাচিত গ্রাহকদের জন্য চালু করেছিল ছোট্ট পাহাড়ি দেশটি। বর্তমানে এই কোটা সিস্টেম পুরোপুরি ভাবে প্রত্যাহার করে তামাকজাত পণ্যকে ভুটানের সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দিচ্ছে।
আইন করেও লাভ হয়নি, ক্ষতি হয়েছে রাজস্ব
তামাকজাত পণ্যের উপর কঠিন আইনজারি করা সত্বেও ভুটান সরকার এটি বন্ধে সর্বাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়। ভারত থেকে অবাধে তামাকজাত পন্য ভুটানের চোরাচালান চলতে থাকে। রয়েল গভঃ অফ ভুটান পুলিশের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রধান, কর্নেল ফোব গিলসেন বলেছেন যে করোনার সময়কালে তামাকজাত পন্যের অবৈধ পাচারের ১৪৪টি ঘটনা ঘটেছে। ভুটান পুলিশ ও কাষ্টমসের হাতে প্রায় সাত কোটি টাকার তামাকজাত পন্য বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
তামার রোখার সব রকম প্রচেষ্টা ব্যর্থ
তিনি বলেন এই তামাকজাত পন্যের কালোবাজারি রুখতে দেশে অতিরিক্ত পুলিশ পোষ্ট,সিসিটিভি, ওয়াচ টাওয়ার নির্মান করা হয়। কিন্তু চোরাচালানকারীরা বিভিন্ন উপায়ে তাদের অবৈধ কারবার চালিয়ে যায়। যদিও সেই দেশে এখনও পর্যন্ত তামাকজাত পন্যের বিক্রি ও উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ফোব গিলসেন জানিয়েছেন, শনিবার তামাকজাত পন্যের সংশোধোনীয় বিলটি ভুটানের বিধানসভায় পেশ করা হবে।
তবে ১৮ বছরের নীচে বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ
ভুটান বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান, তাসাভাং লামো এই বিলটি বিধানসভায় উপস্থাপন করব্বন। ভুটান সংবিধানের ১১৪ ধারা আইনে এই বিল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এদিকে, ভুটানের বিদেশমন্ত্রী ডঃ তান্দি দার্জি বলেছেন সরকার এই বিল নিয়ে আলোচনা করবে। তবে সংবিধানে এই আইনটি পাশ হলেও ১৮ বছরের নিচে কাউকে এই পন্য বিক্রি করা নিষিদ্ধ থাকবে।