চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। ব্রিকস সম্মেলনে দুই নেতার মধ্যে যে বার্তালাপ হয় তা নয়াদিল্লির জোরাজুরিতে বলে দাবি করে বেজিং। সরকারি সূত্র বেজিংয়ের এই দাবি অস্বীকার দিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, "দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য চিনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। ব্রিকসে দুই নেতা শীর্ষ সম্মেলনের সময় নেতাদের লাউঞ্জে একটি অনানুষ্ঠানিক কথোপকথন করেন।"
আগামী মাসে নয়াদিল্লিতে G20 শীর্ষ সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি শির মধ্যে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় হতে পারে।
বৃহস্পতিবার, সরকার জানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জিনপিংয়ের কাছে এলএসি বরাবর অমীমাংসিত সমস্যাগুলির বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেন, 'ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং অন্যান্য রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ব্রিকসভুক্ত দেশগুলির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী এলএসি বরাবর অমীমাংসিত সমস্যাগুলির বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ তুলে ধরেন।'
এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি শির কাছে সীমান্ত ইস্যু তুলেছেন।
২০২০ সালের মে মাসে গালওয়ানে সংঘর্ষের পর এই দুই নেতার মধ্যে এই ধরনের দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক কথোপকথন। ২০২২ সালের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনের সময় দুই নেতার মধ্যে একই রকম মতবিনিময় হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেছিলেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন।
চিনের বিদেশ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "প্রেসিডেন্ট শি জানিয়েছেন চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি দুই দেশ ও জনগণের সাধারণ স্বার্থে কাজ করে। এটি বিশ্ব ও অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্যও সহায়ক।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "দুই পক্ষ তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক স্বার্থের কথা মাথায় রাখা উচিত এবং সীমান্ত সমস্যাটি যথাযথভাবে পরিচালনা করা উচিত যাতে যৌথভাবে সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও শান্তি রক্ষা করা যায়।"