Nepal Covid Restriction: করোনার ভয়ে সতর্ক নেপাল। বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে ফের নতুন শর্ত আরোপ করল নেপাল টুরিজম বোর্ড। ভ্যাকসিন নেওয়ার নথি অথবা আরটিপিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া আর নেপালে প্রবেশ করা যাবে না। যার জেরে ভারত-নেপাল সীমান্তের বাংলা-বিহারের প্রত্যেকটি সীমান্ত এলাকাতেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেইসসঙ্গে নিরাপত্তা জোরদার করাহয়েছে।
তবে চিন সহ পাঁচটি দেশের সঙ্গে ভারতের নাগরিকদেরও এই নজরদারির আওতায় পড়তে হচ্ছে। ভারতের তরফেও কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও নেপালের সঙ্গে নিয়ম অনেকটাই শিথিল। তাই অনেক ক্ষেত্রেই নজরদারির এড়িয়ে নেপালে প্রবেশ ভারতীয়দের সমস্যায় পড়তে হলেও, ওই দেশের নাগরিকরা অনায়াসেই পানিট্যাঙ্কি সহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছেন। এদিক থেকেও ওদিকে যাওয়াতে অসুবিধা হচ্ছে না। এদিকে, নেপালের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও সমস্যা তৈরি হয়েছে পর্যটন ও বাণিজ্যিক মহলে।
শেষ বছরে সিংহভাগই ছিল ভারতীয় পর্য়টক
নেপাল টুরিজম বোর্ডের তথ্যে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ওই দেশে পা রাখা পর্যটকদের বেশিরভাগই ভারতীয়। ফলে নিয়মের কড়াকড়িতে বহু বুকিং বাতিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।নেপাল টুরিজম বোর্ডের তথ্য অনুসারে, গত বছর নেপালে পা রাখা পর্যটকদের মধ্যে ৪০.০৬ শতাংশ সার্কভুক্ত দেশের। দেশের নিরিধে প্রথম পাঁচে সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছেন ভারত থেকে (২,০৯,১০৫ জন)। এরপরে রয়েছে ইউএসএ (৭৭,০০৯), ইউকে (৪৪,৭৮১), অস্ট্রেলিয়া (২৬,৮৭৪) এবং বাংলাদেশ (২৫,৩৮৪)। এমন পরিস্থিতিতে ভারত বা সার্কভুক্ত দেশগুলির ক্ষেত্রে কেন এমন নিয়ম বলবৎ করা হল, তা বুঝতে পারছেন না নেপালের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এতে প্রভাব পডতে পারে উত্তরবঙ্গের অন্য বাণিজ্যেও। পর্যটন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছে পর্যটন মহল।বাণিজ্য সংক্রান্ত যে করিডরগুলি তৈরি হচ্ছে, সেই কাজ বাধা পাবে। উত্তরবঙ্গের ব্যবসাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়িক সংগঠন সিআইআইয়ের তরফে বিদেশ ও বাণিজ্য মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
চিনে কোভিড মাথাচাড়া দিতেই নেপালে সতর্কতা
চিনে নতুন করে কোভিড মাথাচারা দিয়ে উঠতেই বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে সতর্কতা। নেপালে চিনের পর্যটক বা নাগরিকরা প্রচুর পরিমাণে আসেন, তা নয়।তবে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায়নি নেপাল সরকার। ভারতে এখনও পর্যন্ত অস্বাভাবিকভাবে সংক্রামিত হওয়ার কোনও ঘটনা ঘটছে না। ভারতের সিংহভাগ মানুষের ভ্যাকসিনও নেওয়া আছে। কিন্তু এরপরেও হয়রানির ভয়ে কিছু মানুষ বুকিং বাতিল করতে পারে বলে আশঙ্কা দুদেশের পর্যটন সার্কিটে।
বিশেষ করে ভারতের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ সীমান্ত খোলার পর থেকে প্রচুর মানুষ শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে নেপাল যান। সেটিও ব্যহত হবে। পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে যে ব্যবসা হয়, তাও ধাক্কা খাবে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।