প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে যেন সম্পূর্ণ দুই ভাগে বিভক্ত আমেরিকা। ভোটের আগে এমন মেরুকরণ সাম্প্রতিক অতীতে সেদেশের মানুষ দেখেননি। ফোর্বসের রিপোর্ট বলছে, ২টি সমীক্ষা অনুযায়ী একটু হলেও এগিয়ে কমলা হ্যারিস। আবার ৩টি সমীক্ষা বলছে কমলা হ্যারিস-ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্য়ে টাই হতে পারে। ভোটের মাত্র কয়েকদিন বাকি। তার আগে এখনও হলফ করে বলা যাচ্ছে না যে হাওয়া কোনদিকে।
বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী, কিছুটা এগিয়ে আছেন কমলা হ্যারিস। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিতে নির্বাচনের কারণে ফল কী হতে পারে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পদ্ধতি জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
ন্যাশানাল লেভেলে কমলা হ্যারিস সামান্য এগিয়ে থাকলেও, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলি তাঁকে ভাবাতে পারে। রিপাবলিকান ভোট বেশি, এমন স্টেটগুলিই কিন্তু এই ভোটের ফলাফল স্থির করতে পারে। সমীক্ষা অনুযায়ী, অ্যারিজোনা এবং নেভাদা-সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে হ্যারিস এগিয়ে আছেন। মজার বিষয়টি হল, এই স্টেটগুলিতেই ২০১৬ সালে জিতেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর অবশ্য ২০২০ সালে সেখান থেকে হেরে যান। এদিকে আমেরিকার গ্রামীণ ও কনজার্ভেটিভ ভোটাররাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূল শক্তি। তাঁদের সমর্থন ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরিয়ে আনতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।
বিভিন্ন সমীক্ষাতে দুই প্রার্থীর প্রতি সাপোর্টের পার্থক্য ৫ শতাংশেরও কম। এই ধরনের রাজ্যে সামান্য কিছু পরিবর্তন হলেও তা ভোটের চূড়ান্ত ফলে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচনের দিন ভোটদানের হার এবং শেষ মুহূর্তের ক্যাম্পেইন স্ট্র্যাটেজির উপরেই অনেক কিছু নির্ভর করছে।
ফলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের রেজাল্ট কী হবে, তাই নিয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত নয়। তবে এক কথায় এটাই বলা যেতে পারে যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে এমন দ্বিমুখী প্রবণতা বহুদিন দেখেনি আমেরিকা। এই বিষয়ে আপনার কী মতামত? জানান কমেন্টে...