দীর্ঘ ৯ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী। SCO সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছে গিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। নূর খান এয়ারবেসে পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তাঁকে স্বাগত জানান। SCO সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নৈশভোজের আয়োজন করেছেন।
এস জয়শঙ্কর, ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর SCO শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন। সেখানে 24 ঘণ্টারও কম সময় কাটাবেন। বলাই বাহুল্য ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। আর তেমনই প্রেক্ষাপটে সেখানে বিদেশমন্ত্রী। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলা এবং বালাকোট বিমান হামলার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের পরে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, 'যেকোনও প্রতিবেশীর মতো ভারত অবশ্যই পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাইবে। কিন্তু আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস অব্যাহত থাকলে সেটা হতে পারে না।'
নয় বছর পর পাকিস্তানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী
এসসিও সম্মেলনে অংশ নিতে পাকিস্তান পৌঁছেছেন এস জয়শঙ্কর। প্রায় নয় বছর পর এই প্রথম ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তান সফরে গেলেন। এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। আফগানিস্তান সংক্রান্ত সম্মেলনে অংশ নিতে পাকিস্তানের রাজধানীতে গিয়েছিলেন সুষমা স্বরাজ।
#দেখুন | EAM ডঃ এস জয়শঙ্কর SCO কাউন্সিল অফ হেডস অফ গভর্নমেন্টের 23 তম বৈঠকের জন্য পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন৷ (সূত্র: পিটিভি) pic.twitter.com/Hpu8kHtncD
— ANI (@ANI) 15 অক্টোবর, 2024
SCO কী?
১৯৯৬ সালের এপ্রিলে একটি বৈঠক হয়েছিল। তাতে চিন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান অংশ নেয়। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল একটাই- জাতিগত ও ধর্মীয় উত্তেজনা দূর করার লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তোলা। তখন একে বলা হত 'সাংহাই ফাইভ'। ১৫ জুন ২০০১-এ SCO গঠিত হয়েছিল। এরপর চিন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান 'সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন' প্রতিষ্ঠা করে। এরপর জাতিগত ও ধর্মীয় উত্তেজনা দূর করার পাশাপাশি ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হয়।
১৯৯৬ সালে যখন সাংহাই ফাইভ গঠিত হয়েছিল, তখন এর উদ্দেশ্য ছিল চিন এবং রাশিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা রোধ করা। মাত্র তিন বছরের মধ্যে সেই লক্ষ্য অর্জনও করেছিল দুই দেশ।