ডোনাল্ড ট্রাম্পকে(Donald Trump) সাপোর্ট করেছিলেন। তিনিই ফের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। আগেভাগেই সেই ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক(Elon Musk)। আর এবার আরও এক বড়সড় আভাস দিয়ে দিলেন টেসলা কর্তা। এক্স-এ এক পোস্টের রিপ্লাইতে সরাসরি লিখে দিলেন, আগামী নির্বাচনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর(Justin Trudeau) বিদায় নিশ্চিত। স্বাভাবিকভাবেই, অস্থির কানাডার(Canada) রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে এবার তুঙ্গে জল্পনা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্য়াট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ফের একবার হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন। শুরু থেকেই প্রকাশ্য়ে ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলকে সমর্থন করেছেন ধনকুবের মাস্ক। বরাদ্দ করেছিলেন বিশাল অঙ্কের একটি তহবিলও। লাগাতার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। আর শেষ পর্যন্ত তাঁর সমর্থন করা প্রার্থীই এবার এলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, আরও অনেক দেশের বিশ্লেষকরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই জয়ে ইলন মাস্কের প্রচেষ্টার প্রভাবকে কোনও অংশেই খাটো করা যায় না। আর সেই কারণেই, কানাডার ট্রুডোর বিরোধী গোষ্ঠীর অনেকেই বলছেন, ইলন মাস্কই পারেন, তাঁদের দেশে নির্বাচনে পালাবদল করাতে।
সেই কারণেই কানাডার এক ব্যবসায়ী-এক্স ইউজার সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট দেন। সেখানে ইলন মাস্ককে ট্যাগ করে লেখেন, 'কানাডা থেকে ট্রুডোকে সরাতে আমাদের আপনার সাহায্য প্রয়োজন।'
সেই টুইটের রিপ্লাইতে ইলন মাস্ক লেখেন, 'আসন্ন নির্বাচনেই তিনি বিদায় নেবেন।'
আগামী বছর কানাডায় ভোট
জানিয়ে রাখি, আগামী ২০২৫ সালেই কানাডায় নির্বাচন হতে চলেছে। বর্তমানে ট্রুডোর উপর ক্রমেই চাপ বাড়ছে। সেখানে তিনি সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে তাঁর বিদায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।
মাস্কের ভবিষ্যদ্বাণীতে বড় ইঙ্গিত?
ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্কের এই প্রেডিকশনে অবশ্য আরও বড় ইঙ্গিতও খুঁজছেন অনেকে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বিদেশনীতির আভাস হতে পারে মাস্কের এই ভবিষ্যদ্বাণী। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
ট্রুডোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক
গত বছর পার্লামেন্টে বক্তৃতা করার সময় জাস্টিন ট্রুডো খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেছিলেন। এরপর ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যায়। সেই থেকে ভারত-কানাডার সম্পর্ক নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভারত ট্রুডো এবং তাঁর দলকে খালিস্তানিদের প্ররোচিত করে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করার অভিযোগও তুলেছে।