স্ত্রীকে কুচি কুচি করে কেটে তারপর মিক্সার গ্রাইন্ডারে থকথকে কাত বানাল স্বামী। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম নৃশংসতা অতীতে হয়েছে কিনা, জানা নেই। মিস সুইত্জারল্যান্ড ফাইনালিস্ট ও বিশ্বের নামী মডেল ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিচকে (Kristina Joksimovic) তাঁর স্বামী যে ভাবে হত্যা করল পুলিশেরহাড় হিম হয়ে যাচ্ছে।
কুচি কুচি করে কেটে ব্লেন্ডারে
জুরিখ পুলিশ তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত যা পেয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ক্রিস্টিনার দেহ টুকরো টকরো করে কেটে ব্লেন্ডারে পেষা হয়েছে। ২০১৭ সালে থমাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মিস সুইত্জারল্যান্ড ফাইনালিস্ট ক্রিস্টিনার। তাদের দুই সন্তানও রয়েছে। অটোপসি রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, খুন করার পর দেহ একেবারে ছোট ছোট টুকরো করতে ব্যবহার করা হয়েছে, বড় ছুরি, বাগানের ঘাস কাটার বড় কাঁচি ও কাঠের ছাল তোলার মেশিন, করাত। সেই সব দিয়ে ক্রিস্টিনার দেহ একেবারে কিমার মতো কেটে তা মিক্সার গ্রাইন্ডারে ঘোরানো হয়েছে। যাতে একেবারে থকথকে হয়ে যায়। গোটা প্রক্রিয়াটি থমাস করেছে বাড়ির লন্ড্রি রুমে।
বিখ্যাত মডেল ক্রিস্টিনা মডেলিংয়ের ট্রেনিংও দিতেন
দেহটি গলিয়ে ফেলতে ও মিহি করে ব্লেন্ডারে ঘোরানোর জন্য একধরনের রাসায়নিকও ব্যবহার করা হয়েছে। বিখ্যাত মডেল ক্রিস্টিনা মডেলিংয়ের ট্রেনিংও দিতেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তারপর গ্রেফতার করা হয় স্বামী থমাসকে। পুলিশের জেরায় থমাস জানায় কীভাবে সে তার স্ত্রীকে মেরেছে। তার দাবি, ক্রিস্টিনাই প্রথমে তাকে ছুরি দিয়ে মারার চেষ্টা করে। তাই আত্মরক্ষার জন্য সে খুন করেছে।
জোকসিমোভিচকে প্রথমে গলা টিপে খুন করে স্বামী
পুলিশের অনুমান, জোকসিমোভিচকে প্রথমে গলা টিপে খুন করে স্বামী। তারপর দেহ লোপাট করতে শুরু করে নানা প্ল্যান। থমাসের তীব্র মানসিক রোগেরও আভাস পেয়েছেন মনোবিদরা। এই ঘটনার ঠিক ৪ সপ্তাহ আগেই বাসেলসে বিরাট বাড়ি কিনেছিল দুজনে। সুখী পরিবারের মতোই সন্তানদের নিয়ে থাকত।
২০০৭ সালে মিস সুইত্জারল্যান্ড প্রতিযোগিতায় ফাইনালে উঠেছিলেন ক্রিস্টিনা। সুইত্জারল্যান্ডের ডাকসাইটে সুন্দরী। তার আগে একাধিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন।