Hamas in Bangladesh: 'হামাস? সে তো অনেক দূরের। ভারতে এর প্রভাব পড়বে না...'
আপনিও কি এমনটা ভাবছেন? তাহলে এবার একটু অন্যভাবে ভাবতে শুরু করুন। কেন? কারণ এবার ভারতের পাশেই, বাংলাদেশেই শুরু হয়েছে হামাসের ভয়ঙ্কর জঙ্গিদের আনাগোনা। তালিবান, কট্টরপন্থী নেতাদের সঙ্গে মিটিং করছে তারা। আগামিদিনে এই উগ্রবাদীরা যে কোনও নাশকতার ছক কষতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।
সম্প্রতি ঢাকায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল 'আল মারকাজুল ইসলামি'। আর সেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই এসে জুটেছিল বিশ্বের বিভিন্ন কট্টরপন্থী, খুনি জঙ্গি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। শুধু তাই নয়, আল-কায়দার মতো জঙ্গি দলের নেতারাও এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খোলা মঞ্চে বক্তৃতা দেয়। মুফতি শহিদুল ইসলামের মতো কট্টর জঙ্গিনেতারাও এই অনুষ্ঠানে এসেছিল।
ধর্মের আড়ালে কেন এমন জঙ্গি নেতাদের অনুষ্ঠান করা হল, তার মূল উদ্দেশ্যটা এখনও স্পষ্ট নয়।
মুফতি শহিদুল ইসলাম- বোমা হামলা এক্সপার্ট
১৯৯৯ সাল। খুলনার একটি আহমদিয়া মসজিদে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল মুফতি শহিদুল ইসলামকে। এই বোমা হামলায় ৮ জনের মৃত্য়ু হয়েছিল।
বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রবাদ, যুবসমাজের একাংশের ব্রেনওয়াশ করার পিছনে এই মুফতি শহিদুল ইসলাম অন্যতম মাথা।
জেল থেকে ছাড়া পেয়েই বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে জঙ্গিনেতা। তবে গোটা বিশ্ব নয়, যে যে দেশে ইসলামি উগ্রপন্থা, জঙ্গিনেতা, খুন-জখম-অশান্তি হয়, সেখানেই যায় মুফতি। তালিকায় আছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এমনকি আফ্রিকার যুদ্ধবিদ্ধস্ত কয়েকটি দেশ। এই জায়গাগুলোয় গিয়ে আল কায়দার থেকে হাতে কলমে ট্রেনিং নেয় মুফতি।
আর তারপর বাংলাদেশে ফিরে আসে। কৃতী ছাত্ররা বিদেশে পড়ে এসে দেশে কোনও বড় কোম্পানির ম্যানেজার হন। আর মুফতির মতো উঠতি জঙ্গিরা বিদেশে ট্রেনিং নিয়ে এসে দেশে বড় জঙ্গি সংগঠন চালায়। এখনও বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদ্দিন বাংলাদেশ বা JMB-র অন্যতম মাথা এই মুফতি।
এমন একজন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খোলা মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছে। আর হামাস, তালিবান, আলকায়দার জঙ্গিরা বসে শুনছে, তারিফ করছে। সিনটা ভাবুন!
৭ অক্টোবর অনুষ্ঠান হয়েছিল
গত ৭ অক্টোবর ঢাকায় এই আয়োজন করা হয়েছিল।
হামাসের শেখ খালিদ কুদ্দিমি এবং শেখ খালিদ মিশালের মতো সিনিয়র জঙ্গিনেতা সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল। এছাড়াও পাকিস্তানের প্রভাবশালী নেতারা এখানে হাজির হয়েছিল।
ভারতের জন্য উদ্বেগ
শেখ হাসিনার সরকারের পতন, অন্তর্বর্তী সরকার... এই সব মিলিয়ে এমনিতেই বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা শান্ত নয়। আর তারই মধ্য়ে সেখানে এমন জঙ্গি নেতাদের মিটিং যে মোটেও হেলাফেলার মতো বিষয় নয়, তা বলাই বাহুল্য।
বাংলাদেশে কট্টরপন্থী মতাদর্শ ছড়িয়ে কি বড় কোনও ছক কষা হচ্ছে? এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোয়েন্দারা।