নয়া সৌরচক্রে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছে সূর্য। ইতিমধ্যেই একটি করোনাল মাস ইজেকশন বিস্ফোরিত হয়েছে এবং তা পৃথিবীর দিকে এগোচ্ছে। কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ইন স্পেস সায়েন্সেস অনুমান করেছে যে, বৃহস্পতিবার পৃথিবীতে শক্তি এবং প্লাজমার একটি বিশাল ঢেউ আঘাত হানবে।
করোনাল মাস ইজেকশান (CME) হল সূর্যের পৃষ্ঠে হওয়া সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণগুলির মধ্যে একটি যা মহাকাশে প্রতি ঘন্টায় কয়েক মিলিয়ন মাইল বেগে এক বিলিয়ন টন পদার্থ ধারণ করতে পারে। এই সৌর উপাদানটি আন্তঃগ্রহের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়, যা তার পথে থাকা যেকোনও গ্রহ বা মহাকাশযানকে প্রভাবিত করে। যখন একটি শক্তিশালী CME পৃথিবীর উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন সেটি উপগ্রহের ইলেকট্রনিক্সকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং পৃথিবীতে রেডিও যোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলিকেও ব্যাহত করতে পারে।
২৮ মার্চ সূর্যের সক্রিয় অঞ্চল ১২৯৭৫ ও ১২৯৭৬ থেকে সৌর শিখাগুলি নির্গত হয়েছে। রিসার্চ সেন্টার বলেছে, এই শিখাগুলি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে আঘাত করার কারণে মাঝারি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়ে একটি ট্যুইটও করেছে তারা। একইসঙ্গে CESSI সূর্যের পৃষ্ঠে নতুন সানস্পটগুলিও চিহ্নিত করছে যা ভবিষ্যতে আরও সৌরশিখা তৈরি করতে পারে।
অন্যদিকে আমেরিকার ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (NOAA) এই পর্যবেক্ষণকে সমর্থন করেছে এবং ৩১ মার্চ পৃথিবীতে একটি G3 শ্রেণীর শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। তারা সতর্ক করে দিয়েছে যে, এর ফলে স্যাটেলাইটের উপাদানগুলিতে সারফেস চার্জিং ঘটতে পারে এবং ড্র্যাগ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এটি প্রথমবার নয় যে একটি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানতে চলেছে, মহাকাশ আবহাওয়ার এই ধরনের ঘটনার পরিমান বেড়েছে কারণ, সূর্য এখন তার নতুন সৌর চক্রের ক্রিয়াকলাপ বাড়াচ্ছে৷
আরও পড়ুন - মার্চের মধ্যে এই কাজগুলি না সারলে মাসের শেষে পুরো মাইনে পাবেন না!