শুক্রবার সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ব্যাপক হামলা চালায় ইজরায়েলি বিমান বাহিনী। সেনাবাহিনীর দাবি, 'অপারেশন নিউ অর্ডার'-এ হিজবুল্লাহর সদর দফতরে হামলা চালানো হয়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। আর সেই টার্গেটে সফল হয় ইজরায়েল। একেবারে হিজবুল্লাহ-র কমান্ড সেন্টারেই তার নিকেশ করে ইজরায়েল। এই হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইজরায়েল। তবে এই বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, হিজবুল্লাহর সদর দফতরে ৮০টিরও বেশি বোমা ফেলা হয়েছে। প্রতিটি বোমায় গড়ে এক টন করে বিস্ফোরক ছিল। বাঙ্কার ধ্বংসকারী শক্তিশালী বোমাও ব্যবহার করা হয়েছিল।
এই হামলার জেরেই নাসরাল্লাহর মৃত্যু হয়। একজন ইজরায়েলি আধিকারিক টাইমস অব ইসরায়েলকে জানান, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর টার্গেটে হামলা চালানো হয়েছিল। এর পাশাপাশি এই হামলায় হাসান নাসরাল্লাহর মেয়ে জয়নব নাসরুল্লাহরও মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
হামলার পর বিস্তীর্ণ এলাকা সম্পূর্ণ ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে যায়। রাস্তাগুলি ধ্বংসস্তূপে ভরে যায়। প্রায় ৬০টি বিল্ডিং কার্যত মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই আধিকারিক আরও বলেন, 'এই ধরনের হামলার পর তাঁর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। অনেক হিব্রু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে যে, আন্ডারগ্রাউন্ড হেডকোয়ার্টারে হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে ইজরায়েলি হামলার পর থেকে প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।